Wrong :: ভুলে ভরা

যা শুরু বা অারম্ভ হয়নি তার অস্তিত্ব কোথায়?


অাস্তিক হতে হবে না, অপরাধ বন্ধে সচেষ্ট হউন। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


শুরু থেকেই তার যথেষ্ট জ্ঞান বুদ্ধি ছিল আর ইচ্ছেও ছিল ভালো হবার এবং ভাল থাকবার, কিন্তু তার লজ্জাবোধ আর সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ তাকে নিরুৎসাহিত করে, তার সঠিক থাকার চেতনাকে হত্যা করে এবং তাকে লাম্পট্যের ক্রিড়ানকে পরিণত করে। সমাজ আর ধর্মের শিক্ষা তাদের দুজনকে শেষমেশ দূরে ঠেলে দেয় আর খারাপ প্রলোভনকারীদের পুরষ্কৃত করে, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন


মানুষের বংশ মর্যাদা কি পেশা গুনে নাকি জন্ম গুনে? ব্রাম্মণ, কায়স্ত, নোমো যেমন রয়েছে তেমনি মুসলমান সমাজে তালুকদার, সিকদার, শেখ, হাওলাদার, সৈয়দ বলে একেক জন নিজেদের একেক রকম মর্যাদাবান মনে করেন। ধর্মের মাপকাঠিতে বিধাতার কাছেও নাকি তাদের অবস্থান ভিন্ন। কিন্তু ব্রাম্মণ যদি নাপিতের কাজ করে আর নাপিত যদি ব্রাম্মনের কাজ করতে পারেন তাহলে তাদের অবস্থান কোথায় হবে? বিধাতার কাছে কার কি অবস্থান তা নিশ্চিত করে বলাটা সার্বজনীন নয় এবং ততটা গুরুত্বপূর্ণও নয়। কিন্তু সমাজে তাদের অবস্থান বিষয়ে মানুষের দৃস্টিভঙ্গিটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ন। কেননা সমাজে বিরাজমান বংস্ব পরিচয় গুলো অনেকটাই পেশাগত কারনে মানুষের দ্বারাই সৃষ্ট। হিন্দুদের গোড়ায় যাওয়া কঠিন বা অসম্ভব, কিন্তু উপনিবেশ আমলে যাদেরকে খাজনা আদায়ের কাজে নিয়োগ দেয়া হত অর্থাৎ বৃটিশদের এজেন্ট হয়ে যারা কাজ করত তাদেরকে তালুকদার আর যারা খাজনার চারভাগের এক ভাগ পেত তাদেরকে নাকি সিকদার বলা হত। আবার হাওলা প্রাপ্তদের বলা হত হাওলাদার। এদিকে দেশের আনাচে কানাঁচে বিভিন্ন জায়গায় ধর্ম ভিত্তিক যে দান বাক্স দেখা যায় তাতে সৈয়দদের রয়েছে ব্যাপক অংশিদারিত্ব। অনেকে হয়ত ধারনা করতে পারেন যে এরূপ বিভাজন যেহেতু মানব সৃস্ট্য, এসবের সাথে বিধাতার কাছে নৈকট্য বিবেচনায় কোন ধর্মীয় মাপকাঠি জড়িত নেই অর্থাৎ বিধাতার কাছে সবার নৈকট্য সমান। কিন্তু তেমনটা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক নয়। কর্ম, অাচরন, অবস্থান গুনে যেমন পেশা আবার পেশার প্রভাবও অাচরনে থাকতে পারে। অার বিধাতা সেই অাচরনকেই মূল্যায়ন করেন। ধর্মের মাপকাঠিতে জন্মগত ভাবে প্রাপ্ত অশুভ অাচরণ পরিত্যাগ করে বটে বিধাতার সাথে নৈকট্যের প্রশ্ন। "জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভাল"- বলা সহজ কিন্তু বাস্তবতা কঠিন। বিশেষ করে মানসিকতা পরিবর্তন করা কঠিন। ধর্মীয় প্রাথনায় অংশ নেয়া এবং ধর্ম প্রচার কে যারা মূখ্য মনে করেন তাদের অনেকেই সঠিক বিচার, আত্মমর্যাদা, ও যোগ্যতার মূল্যায়নের স্থলে ক্ষমা, ভিক্ষা সজনপ্রিতিসহ নানা বাজে অভ্যাস বিস্তারের মাধ্যমে মানুষের মর্যাদারহানি ঘটিয়ে থাকে। অধিকার সচেতন না হয়ে, মানুষের অধিকার নিশ্চিত না করে, তারা মূলত: দযা বেচা কেনা করেন। অন্যের বিষয়ে অযাচিত নজরদারি, বারাবারি, দয়া-ভিক্ষার মানসিকতা বা সোয়াবের সাথে বিনিময়ের ধারনা আবার নিজ বিষয়েও আলস্য - এসব অনেক মানুষেরই পেশাগত বা পূর্ব পুরুষের পেশাগত বা গোত্রীয় স্বভাব। সাদা পোশাকে দাড়িঅালা কোন ব্যক্তিকে দেখলে তারা স্বপ্রকৃতির ভেবে সোয়াবের আশায় ভিক্ষার হাত বাড়াতে পারে বা ভিক্ষুক পরিচয় দিয়ে অপবাদ দিতে পারে। আবার তারাই কাছে এসে যখন জানবে আপনি বিত্তবান এবং তাদের মত সোয়াব সংগ্রহে বা বিতাড়নে ব্যস্ত নয়, তারা আপনাকে অযথাই ভন্ড বলতে পারেন। তারা না জানুক, না বুঝুক অনুমানের ভিত্তিতে মন্তব্য করতে, কুৎসা রটাতে সময় নেয় না। আর বিধাতার সাথে বন্ধন অটুট রেখে অশুভ মানুষের অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে না। যারা নাপিত ধোপা, তারা নানা মানুষের সুঁচি বহন করে। বোধ করি সে কারনে তারা বিধাতার সাথে বন্ধন স্থাপনে পিছনে। কেননা পাপিষ্ঠদের ছোয়াচ মুক্ত না হয়ে দেবতাদের সান্নিধ্য কেউ অর্জন করেছিল কি? আপনাকে হতে হবে পাপ মুত্ত এবং পাপিষ্ঠদের বায়ু মুক্ত, স্পর্শ মুক্ত। তাই নোমোর হাতের খাবার এড়িয়ে চলা কোন ব্রাম্মণ যদি পান -সুপাড়ি খেয়ে নিজেকে ব্রাম্মণ দাবী করেন তাহলে বিষয়টা কি দাড়ায়? তা মূলত: নাক বরাবর ১৮০* এঙ্গেলে কিবলা মূখীদের মতই বোকামি। খাল, বিল, নদি নালা, পুকুর ডোবার জল এবং নানা গোত্রের ধোয়া -আধোয়া হাতের ছোঁয়া দোকানের ঐ কাঁচা পান-সুপাড়িতে। অাপনি পাপিষ্ঠদের ছোয়াচ মুক্ত থাকতে পারলে বিধাতার সাথে আপনার বন্ধন হবে অনেকটা সহজ, দুষ্ট শক্তি আপনাকে সহজে প্রভাবিত করতে পারবে না। খাদ্য গ্রহন করতে হবে পরিমিত যেন শরীর বিষয়ে চিন্তামুক্ত থাকা যায় এবং কর্ম পথে আপনার ত্যাগের অনুভুতি সৃস্টি না হয়। ক্ষুধা, উত্তেজনা, দুর্বলতা ও ত্যাগের অনুভুতি অাপনাকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করবে এমনটাই স্বাভাবিক। তার মানে এই না যে আপনাকে সমাজ ছেড়ে বনজঙ্গলে বাস করতে হবে। পানিতে বাস করেও ফুল যেমন পচনমুক্ত থাকতে পারে, অাপনাকে চেস্টা করতে হবে অাপনার বিবেক ও বিধাতার সাথে বন্ধন অটুট রেখে আপনার অাচরণ অন্যের প্রভাব মুক্ত রাখতে। অাদালতে পেস্কার বলে একজন দায়িত্ব পালন করেন। বিচারক, পক্ষ-বিপক্ষ - সবার কথার মাঝে পেস্কারের বুক ফাটলেও যেমন চুপ থাকতে হয়, সমাজ জীবনেও অণ্যের বিষয়ে কথা বলা, হস্তক্ষেপ করা বা রায় দেয়ার ক্ষেত্রে সবার সংযমী হওয়া বাঞ্চনীয়। সমাজে বাস্তবতাটা আসলে কি? একজন শিশুকে তার মা সুন্দর পোশাক পরিয়ে, জুত পরিয়ে স্কুলে পাঠাচ্ছেন। প্রতিবেশীরা জিজ্ঞাস করে "বাবা স্কুলে যাচ্ছো? অনেক বড় হও।" অারেকটা শিশুকে বলা হচ্ছে "এইটু বাজার আনতে এত সময় লাগে? আগে ঐ বাড়ির সদায়টা দিয়া পরে স্কুলে যা"। তখন প্রতিবশীরা বলে "এই ছ্যামরা, ঐ দোকান থেকে আমার জন্য একটা সিগারেট নিয়ে আসিস"। আসলে ধর্ম শিক্ষা, বিবেক বিবেচনা, পাঠশালার শিক্ষা কোন কিছুই কাজে আসেনা বরং তৃতীয় পক্ষের অাচরন দ্বারাই তারা অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয়, নিজের কর্মকে প্রভাবিত করে। পুরনো কথা, কোরানের অনেক কিছু বলার পরে শেষে যা উল্লেখ করা হয়েছে তার অর্থ নাকি কুৎসা রটানো শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে মানুষের ঈশ্বর /অধিপতির কাছে আশ্রয় প্রার্থণা করা। কিন্তু বাস্তবে অর্থ না জেনে শিক্ষার নামে ভিন দেশি শব্দগুলোর সাথে কন্ঠ মেলাবার প্রতিযোগিতায় যারা রুজিরোজগারের ব্যস্ত তারা বন জঙ্গলে অন্ধকারে ভুত-প্রেত, জীন খুঁজে বেরায় অথচ নিজেদের অনেকেই অন্যকারো সম্পর্কে না জেনে না বুঝে বা উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে ভুল,মিথ্যা বলে বা হেয় করে কূৎসা রটিয়ে চলছে। তাদের ধর্মীয় কিতাবের শুরুতেই দুটি পথের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু অর্থ না বুঝে যে শিক্ষার সূচনা তা তাদের ভাল -মন্দ, সঠিক-বেঠিক বুঝবার জন্য ততটা উপযুক্ত করেনি। জন্ম-মৃত্যু-রিজিক-বন্ধন - এ সব বিষয় বিধাতা নির্ধারিত বিধায় বঞ্চিত মানুষদের ভাগ্যের কথা বলে শান্তনা নয় বরং সকলের পূর্ণ স্বাধীন অধিকারের পথে বাধা অপোসারণ করাই ছিল কর্তব্য। উচিৎ -অনুচিৎ বা হালাল হারাম প্রসঙ্গে একজন ব্যক্তি চলার পথে গৌতম বুদ্ধের দীক্ষা সম্পর্কে যা বলেন তাতে, মানুষের বিবেকই অনেক কিছু নির্ধারন করতে পারে। সৃস্টিকর্তার সান্নিধ্য পেতে হলে অাপনাকে অন্তত সব কিছু থেকেই বিরত থাকতে হবে যা কিছু আপনার বিবেক খারাপ মনে করে এবং সব কিছুই করার চেস্টা করতে হবে যা অাপনার বিবেক সকলের জন্য শান্তির মনে করেন। অন্যের অশান্তি সৃস্টি করে অবশ্যই কোন মানব অাত্মা শান্তি পেতে পারেন না। তাই চলার পথে শান্ত ভাবে একমনে শান্তিতে হেটে চলা কোন মানুষের জন্য উচ্চ শব্দে দৃস্টি অাকর্ষণ পূর্বক শান্তি কামনা করার সাথে সোয়াবরে লোভ থাকে বটে বিবেক সায় দেবে না-  যারা "লেট দ্যা স্লিপিং ডগ স্লিপ" এর মর্ম বোঝেন। বংম্বগত বা গোত্রীয় সভাব আর শিশুকাল থেকে অর্থ ছাড়া ভিন দেশি ভাষার চর্চা ও বিধান নয় বরং লোভ ত্যাগ করে বিবেক বিবেচনা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় -এর ক্যান্টিনেও মাথার চুল ঢাকা আর ঠোটের নীচে চুলআলা কিছু ছোয়াব লোভী ছাত্র অাঙ্গুুল চেটে প্লেট চেটে খাওয়ার চর্চা শুরু করে ঠিকই কিন্তু অন্য সবার বিরক্তিতে তারা দ্বিতীয় বার আর সেরকম নোংরা ছোয়াব অর্জনের সাহস করে না। সমুদ্রতীরে একজন রেস্টুরেন্ট মালিক যতার্থই এক খাদককে বলেছিল 'প্লেটের দাম দিয়ে প্লেটটা বাড়ি নিয়ে যান, এরকম থুথু লাগান প্লেট অন্যের সামনে দেয়া যায় না'। কিন্তু পথে ঘাটে অনেক জায়গাতেই সোয়াবের ঐ অনুশীলন বন্ধে লোভ ত্যাগী পরিছন্ন মানুষ প্রয়োজন। তেমনি নিৎকৃষ্ট প্রানি কুকুরের ঘুম না ভাঙ্গানোর বিবেক যাদের থাকে তারা অন্তত মানুষের ঘুমের সময়ে সোয়াবের আশায় মাইকে চেচামেচি করত না। মনে রাখা প্রয়োজন যে বেহেশতের লোভ হচ্ছে সব থেকে বড় লোভ, আর মানুষ অমানুষ হয় মূলত: লোভ ও ভয়ের কারনে। যারা বিশ্বাসী তাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে বিধাতা নরকও তৈরি করে রেখেছেন। মানূষের স্বাধীনতা হরণ করে জোরপূর্বক ধর্ম-কর্ম পালন করিয়ে যারা সবাইকে বেহেশতে পঠাতে চান তারাই কি তাহলে বিধাতার ণরক গড়ার সার্থকতা রক্ষা করবেন? ন্যায় বিচার যেখানে বিদ্যমান সেখানে কর্মফল খোয়া যাবে না। জন্মগত পরিচয় ও অবস্থান থাকবেই -তা মেনে নেয়াটাই উন্নত মানসিকতা ও পরিবর্তনের সঠিক পন্থা। পরিবর্তন করতে চাইলে অাচার -আচরণ বা কর্মের মাধ্যমেই অশুভ বিষয়গুলো পরিত্যাগ করতে হয়। একজন দাশ' বলার চেস্টা করছেন 'দাশ' ও 'দাস' পদবীর পার্থক্যের কথা। তিনি বলছেন যে, তারা বিধাতার দাশ, অন্য কোন রাজা-বাদশার দাস নয়। পরে তাকে জিজ্ঞাস করা হল, সে যদি চৌধুরী পরিবারে জন্মগ্রহণ করতেন তাহলে সে বেশি সন্তুষ্ট হত নাকি দাশ হিসাবে সন্তষ্ট। তার নিরবতাই বলে দিচ্ছিল জন্মগত অবস্থান মেনে নিলেও অনেকের মধ্যে অাক্ষেপ থাকে। পরজন্মে যারা বিশ্বসী তাদের মনে রাখতে হবে কর্ম গুনেই জন্ম পরিচয় নির্ধারিত হয়। নিন্মবর্ণের পিতৃ পরিচয় মুছে কেউ যদি উচু কোন বংস্ব পরিচয় নিজ নামের সাথে যুক্ত করেন তাহলে সে তো নিজেই নিজের রক্তকে নিচু হিসাবে পরিচিত করল। নিচুকূলে জন্মালেও নিজ কর্মগুনে নিচু অাচরন পরিত্যাগ করে মানুষ নিজ বংস্বকেই মর্যাদার অাসনে প্রতিষ্ঠিত করার চেস্টা করতে পারেন। অাসলে লোভ ত্যাগ করে অর্থাৎ কর্মফল ভোগের অাকাঙ্খা ছেড়ে - যা করনীয় তাই করতে হয়। ধর্মের পোষাক গ্রহন করলেও এ দেশের মুক্তিযোদ্ধের সময় কিছু লোক লোভ আর ভয়ের কারনে রাজাকার হয়েছিল। কারন দেশ পরিচালনায় তারা যা করছিল তা যে কোন ধর্ম সমর্থন করতে পারে না তা বিবেকবান সব মানুষের কাছে স্পস্ট ছিল। রাজাকারদের দলের এক নেতা তো প্রকাশই করেছিল যে তারা আসলে বুঝতে পারেনি এদেশের নিরস্ত্র মানুষ সসস্ত্রদের সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হবে। অর্থাৎ ন্যায়-নীতি -আদর্শগত বিষয় তাদের কাছে মূখ্য ছিল না। তাদের পরিচয় বিশেষ ধর্মের মোড়কে মোড়া থাকলেও, ছিল না বিধাতার সাথে কোন বন্ধন। তারা মূলত: দুনিয়াতে শক্তির পক্ষে - তা অপশক্তি হলেও। সমাজে বিশ্রী রকম দুর্নীতি প্রবন মানুষগুলোর মধ্যে তাদের উত্তরসুরি ও ভক্তদের রয়েছে বিশেষ অবস্থান। বয়স যাই হোক অর্থ-সম্পদশালী বা ক্ষমতাবান মনে হলে তাদেরকে বিনম্র সালাম বা তাদের সামনে নিরবতা পালন করে ঠিকই, কিন্ত গরীব বা দুর্বল মনে হলে দু-একটা কাশি দিয়ে অপমান করতে ভুলে না -ধর্মের পোষাকের ঐ জীবগুলো। তারা এতটাই এক পাক্ষিক টানেল ভিশন সর্বস্ব, অাধিপত্যবাদী, লোভী ও ভীতু বিধায় ক্ষমতাবানদের লেজুর ধরা, যে একদা বিরোধী দলীয় নেত্রীর অফিসে প্রকাশ্য অাহবান করছিল দেশ ব্যাপী হরতাল প্রতিবাদ করার যেন 'শিখা চিরন্তনী' এবং সোপর্যিত স্বাধিনতার ভাস্কর্যসমূহ ভেঙ্গে ফেলা হয়। কারন তাদের দৃস্টিতে তা ধর্ম বিরোধী ও পাপের কাজ। অথচ তাদের সম্মূখেই সেই বিরোধী দলের(মৃত) প্রধানের ভাস্কর্য এবং 'শিখা অনির্বান' নিয়ে তারা নিশ্চুপ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাকারদের উত্তরসুরিরা গলায় কাটা অনুভব করে ঠিকই কিন্তু লজ্জিত হয় না। বরং প্রশ্নকর্তাকে নানা অভিশাপ। মহাভারতের কোন এক ঘটনায় যা উল্লেখ অাছে তাতে অভিশাপ করা এমন একটা কাজ যাতে নাকি দেবতারাও দেবতার মর্যাদা হারায়। অথচ প্রতি সপ্তাহে একটি করে দুপুর দেশ জুড়ে মাইকে অভিশাপ -এর মাত্রা কতটুকু অাপনাদের বিবেচনা। অপরাধী, অন্যায়-অনিষ্টকারীদের শাস্তি দাবী অথবা কারো অাচরন বিবেচনায় তার পরিণতি সম্পর্কে সচেতন করা অার অভিশাপ এক কথা নয়। অপরাধীদের শাস্তির চেস্টা না করে যারা ক্ষমা মহৎ গুন প্রচারের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে তওবা বা প্রাথর্ণার অনুশীলন করেন তাদের বুঝা উচিৎ ক্ষমা করা মহৎ গুন, কিন্তু ক্ষমা চাওয়া নয় - তা ভিক্ষা চাওয়ার শামিল যা খুবই নিচু। জোড় জুলুম , প্রতাড়নার মাধ্যমে যখন দুর্বলের উপর কাম চরিতার্থ করে, তখন তার শাস্তি প্রদানই কর্তব্য - বিবাহ বন্ধনের নামে অপরাধকে পুরুস্কৃত করা ধর্মের কাজ নয়। অপর পক্ষের অধিক টান থেকে নিজেদের নিরাপদ রাখবার জন্যই অধিক শক্তি- তা দুর্বলদের অধিকার নষ্ঠ করবার জন্য নয়। কামের প্রভাব সম্পর্কে সকলেই জ্ঞাত - তবে অধর্ম বিরোধী কাম রূপে ভগবান নাকি প্রানীকূলে বিরাজমান। একই কাজ পাপের অাবার স্বর্গীয় যদি তা ধর্ম সম্মত হয়। ধর্ম বা সবার অধিকারের বিষয় তোয়াক্কা না করে প্রতাড়না, ছলচাতুরি বা জুলুমে যারা কাম চরিতার্থ করে তারা ধর্ম বিরোধী এবং তাদের শাস্তি প্রাপ্য। বিশ্বজুড়ে যারা ধর্ম প্রতিষ্ঠার কথা বলেন, জেহাদ ও শহীদি মৃত্যুর কথা বলেন তারা তাদের সন্তানদের চরিত্র রক্ষায়- বিশেষ করে পুবার্টি থেকে স্বাভাবিক বিয়ের পূর্ব টর্যন্ত ইজ্জত ও টাবু রক্ষায় যেভাবে সফল তাতে তাদের মধ্যে ধর্মের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ। অাপনি যদি পুরুষ হন আর আইন ও সংখ্যাগুরুদের প্রচলিত ধর্ম সঠিক ভাবে মেনে চলেন তাহলে আপনাকে অন্যের সাথে কামে অভিজ্ঞ নারী বিয়ে করতে হবে। আর অাপনি যদি সতীত্ব হারানো নারী বিয়ে না করেন তবে প্রচলিত ধর্ম ব্যবস্থা আপনাকে উপযুক্ত সহধর্মিণী দিতে ব্যর্থ। রাজাকারদের পরিবারের ছোট ছোট শিশু মন্দিরে এসে বল ' ওসব খড়কুটা আর কাদা দিয়ে বানায়, ঐ গুলো বড় পাপ, হিন্দুরা শয়তান, মুসলমানদের মধ্যে ঝগড়া বাধাঁয়, পাকিস্তান থাকলে ওসব থাকতে পারত না'। ভয়ংকর কূ-শিক্ষা - বিশ্বজুড়ে অশান্তির জন্য যথেষ্ঠ। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করা হয় তারা বিধাতাকে বিশ্বাস করে কিনা, তিনি কেমন, তিনি কি যেকোন সময় যেকোন স্থানে আসার ক্ষমতা রাখেন কিনা। তারা উত্তরে যেমনটা বলে তাতে তারা বিধাতাকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী মনে করেন। তা হলে বস্তুর মধ্যে উপস্থিতিতে অপারগ হবেন কেন? ভক্তের অাবেদনে মাটির মুর্তিতে অাসতে পারবেন না কেন? তারা ভুল খুঁজে বেড়ায় কিন্তু তাদের ধর্ম বিধাতার উপস্থিতি অনুধাবনে কতটুকু তাগিদ দেয়, কতটুকু শিক্ষা দেয়!? তারা দূর থেকে হলেও বস্তুকেন্দ্রিক প্রাথর্ণায় দাড়ান। বস্তু সন্দেহের অতীত তা মানব নির্মিত দেব-দেবীর মুর্তি হোক বা গোপন করে রাখা কোন মূল্যবান বস্তু হোক। কিন্তু বিধাতার উপস্থিতি অনুধাবনের বিষয়। পাপীষ্ঠদের ছোয়াঁছ ও প্রভাব মুক্ত না হয়ে অনুধাবন সহজবোধ করি না। গোপন করে রাখার জন্য কিছু লোকের দাবী মতে সন্দেহ জাগে বিশ্বের হরেক মানুষের কিবলা নিয়ে - তা সত্যই কি যত্নে রাখা শীবলিঙ্গ। অনুভুতি যাই হোক মানব নির্মিত বস্তুকে কেন্দ্র করে হলেও যেখানে অনেক মানুষের অাগমন, সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, ন্যায় বিচার- অনেক কিছুই সম্ভব। তবে বংশ্বীয় সব কূ-অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে এবং আচার-অাচরন পাপীষ্ঠদের প্রভাব মুক্ত রাথতে হবে যেন তৃতীয় পক্ষের প্রভাবে নিজ অচরনে অধগতি না আসে। বিধাতার সাথে বন্ধন অটুট রাখতে বিধাতাকে উপলব্ধি করতে হবে। মনে রাখতে হবে সব সত্য এনটিটিরই একটা পূর্ব অবস্থা ও অবস্থান থাকে। কাজেই আপনার ঈশ্বর আর আপনার ঈশ্বর প্রদত্ত জ্ঞানই শেষ কথা নয় -যদি তা ভুল, খারাপ বা অন্যায় হয়। সব কিছুরই অধিকার থাকে।  প্যন্থেইষ্টদের কথা মতে সম্ভবত বলা যায়, তিনি সবকিছুর মধ্যেই বিরাজমান এবং সব কিছু তার মধ্যে বিরাজমান। তবে তিনি কোথাও অাবদ্ধ নন। যখন অামরা সত্য, সঠিক; আমরা পবিত্র সত্তার প্রতিনিধি।  অার যখন কেহ সত্য ও ন্যায় বিরোধী এবং অন্যের অধিকার হরণ করে, তখন সে মানুষের শত্রু।
May 2017


**********            ********
মা' অশুর যেন না হয় তোমার কোন সন্তান। 

সবার মনে আনন্দ। সকল বিপদ তাড়িয়ে সুখ -শান্তি,  আনন্দ আর প্রাচুর্যে জীবন ভরে দিতে আসবেন কল্যানময়ী দেবী মা-দুর্গা। শিল্পীরা যত্নে গড়ে তুলছেন প্রতিমা। বিদ্যার দেবীর দৃস্টিদান তারপরে জগত মাতা আর অশুর জব্ধকারী মনসার দৃস্টি যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে। একে একে গণেশ -কার্তিক লক্ষ্মী আর শিব সহ সকল দেবতা চিরাচরিত নিয়মে নিজ নিজ অবস্থানে প্রস্তুত অশুরগুলো বিনাশ করতে। জানার আগ্রহ প্রকাশ করা হয় দেবতার বাহন আর অবস্থানের তাৎপর্য নিয়ে। অনন্তকাল যাবৎ মা-দুর্গার ডান পাশে থাকেন প্যাচার পিঠে আগত লক্ষ্মী আর তাঁর ডানে ময়ুরে চরে কার্তিক। মাতার বা দিকে থাকেন হাঁসের পিঠে সরস্বতী আর তার পাশে ইদুরের পিঠে দেবতা গণেশ। অনেকেরই হয়ত অনেক কিছু অজানা কিন্তু সনাতন এই ধর্মের রয়েছে তাৎপর্য পূর্ন ইতিহাস। দেবতাদের অবস্থান ও বাহনের পিছনেও হয়ত রয়েছে অনেক বড় কোন তাৎপর্য বা শিক্ষা। দীর্ঘ কালের অভিজ্ঞ একজন পাল বলেন চিরকাল একই নিয়মে  একই বাহনে একই অবস্থানে প্রতিমাগুলো সাজানো হয়। এসবের পরিবর্তনের সুযোগ তাদের নেই, তবে এবার অশুরের সংখ্যা বেশী। চার চারটা অশুর জব্ধ অবস্থায়। আবার আলতা পায়ে দেবী মা এর সর্ব ডানে দেবতা কার্তিকের পায়ে জুত, অন্যরা কেন পাদুকা মুক্ত -এর জবাবে তিনি জীবন্ত মুচকি হসিতে মায়ের আগমনের আনন্দে সুখ, শান্তি আর প্রচুর্যে  যেন স্বর্গীয় রূপ ফুটিয়ে তোলেন।
ছোট ছোট শিশুরা পিতা-মাতার হাত ছেড়ে দৌড়ে এসে কপল ঠেকায় মায়ের মন্দিরে। শিশুকাল থেকেই এই শ্রদ্ধা, ভক্তি সম্মানের শিক্ষা আর অনুশীলন সমাজ জীবনে শত শত কুলাঙ্গারের মাঝেও তাদেরকে খুঁজে পেতে বেশী বেগ পেতে হয়না। তারা গড়তে জানে, শ্রদ্ধা ভক্তি, সম্মান করতে জানেন আবার প্রয়োজনে যথাসময় বিসর্জন দিতে পারেন। ঐক্য,  আনন্দ, বিচার,  শাস্তি, ন্যায়-অন্যায় প্রতিষ্ঠা- সব কিছুতে যেন প্রকৃতি সহযোগী। সব কিছু প্রকৃত মানব জগতেরই প্রতিচ্ছবি।  অানন্দঘন মূহুর্ত গুলো পেরিয়ে বিদায়ের দিনে বুক দুকরে উঠে বিশ্বাসীদের ।  মা সন্তানদের অাবদার ফেলেদেন না। বছর জুরে তৈরি করে রাখা আবদার গুলো মায়ের কাছে তুলে ধরা। ভক্তি শ্রদ্ধা, আনন্দ উল্লাস,  আবেগ আর বিদায়ী বেদনার মাঝে সামান্য মুহূর্তটুকুতে নিজের আবদার গুলো তুলে ধরতে তালগোল পেচিয়ে ফেলে অনেকেই। সারা বছর যাবৎ প্রতিক্ষা শেষে অতি যত্নে গড়ে তোলা প্রতিমা বিসর্জন হয় বিচ্ছেদী বেদনা আর শান্তিতে ভরা তৃপ্ত হৃদয়ে।  তারা গড়তে জানে, শ্রদ্ধা ভক্তি করতে জানে, আবার বিসর্জন দিতেও পারে। কোন লোভ,  মোহ,  আসক্তি তাদের সমাজ জীবনে কর্ম হতে বিরত রাখে না।  পরস্পর ঐক্য,  সহযোগিতা,  আনন্দ উল্লাস,  শান্তি শৃংখলা আর অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে ত্যাগের শিক্ষা তাদেরকে যুগ যুগ ধরে একটা স্বার্থক মানবজাতিতে পরিনত করে। ঢাকের তালে তালে বিশ্বাসীরা আনন্দে মেতে থাকে এমনি ভাবে যেন জীবন্ত মা দূর্গা ভক্তদেরকে জগত হতে জটিলতা মুক্ত সর্গীয় কোন ভুবনে নিয়ে যান। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রকৃত বিশ্বাসীরা মায়ের চোখে চোখ রেখে ঠিকই বুঝে নেয় মনের অাশা মা কতটুকু গ্রহন করেছে -প্রিয় মানুষটিকে মুহূর্তেই কাছে পাবার মধ্যে সব কিছু যেন সত্য হয়ে উঠে। নিজের মা যত আপনিই হোকনা কেন, মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু দেবী মা ভুলের উর্ধে। ৮/১০ বছরের একটি শিশুকে তার বন্ধুরা বকছে এবং তাকে মারার হূমকী দিচ্ছে।  তাদের অভিযোগ ছেলেটি মন্দির হতে আরতির জন্য একটি পাজেল লুকিয়ে রেখেছে। ছেলেটির মা এসে সবাইকে বলে ' ও যদি নিয়ে থাকে তো নিয়েছে, ফেরত দেতে বলেছ তাই যথেষ্ট,  কিন্তু তোরা মারার কে। তোদের যদি পাজল কম হয়, কমিটির লোকদের বল, প্রয়োজনে কিনে দিবে"। কিছুক্ষণ পরেই ছেলেটির মা ছেলেটিকে একা ডেকে বলে, " মন্দিরের জিনিস তোর একার না, তা সবার,  ভবিষ্যতে ঠাকুর না দিলে মন্দিরের কোন কিছু বাড়ি নিবি না"।  কয়েকজন মায়ের সামনে একজন মায়ের রায়ে সকলেই চুপ। শুধু ধমক বা শাস্তি নয়,  সহযোদ্ধাদের মধ্যে চিরতরে হেয় করা নয় বরং অন্যায় নিরুৎসিহিত করণ, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা,  ইজ্জত রক্ষা ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক নিশ্চিত করনও সুবিচারের অংশ।  তাইতো দ্বিধা দন্দ ভুলে সবাই একত্রে অগ্নি হাতে আরুতিতে অংশগ্রহন।  তবে পালের ভাষ্যমতে অশুরের সংখ্যা বেড়েছে। আবার ধরনও বদলাচ্ছে।  যে অশুরের দিকে মায়ের তীর তাক করা তা নাকি মূল অশুর, তাকে নাকি চিরতরে বিনাশ করা যায় না। তাকে জব্দ করে রাখতে হয়। যে মা তার সন্তানকে সময়মত পোশাক পরিয়ে, আশির্বাদ দিয়ে স্কুলে পাঠায়, তার সন্তান আর যে মা স্কুলের সময়ে সন্তানকে শাসায় "এই ছ্যামরা স্কুলে যাও না ক্যান, তাড়াতাড়ি ঐবাড়ির বাজার দিয়া স্কুলে যা" তার সন্তান কি সমান ভাগ্যবান! ২য় সন্তানটিকে সমাজের অজ্ঞতার অশুরগুলো চিরকাল সুযোগ নিয়ে বলার চেস্টা করতেই পারে " এই ছ্যামরা,  ঐটা নিয়ে আয়, এটা নিয়ে যা, এটা কর, ওটা না......... ইত্যাদি ইত্যাদি। ভগবদগীতা সাধারনের কাছে কতটুকু স্পস্ট তা বলা কঠিন তবে এমন কিছু নাকি বলা হয়েছে " এই জগতে মানুষ সকাম কর্মের সিদ্ধি কামনা করে এবং তাই তারা বিভিন্ন দেবদেবীর উপাসনা করে। সকাম কর্মের ফল অতি শিঘ্রই লাভ হয়।----------কোন কর্ম আমাকে প্রভাবিত করতে পারে না এবং আমিও কোন কর্ম ফলের আকাঙ্খা করি না। আমার এই তত্ত যিনি জানেন তিনি কখনও সকাম কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হন না।" তবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন" হে অর্জুন যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন তাকে আর দেহ ত্যাগ করার পরে পুনরায় জন্ম গ্রহন করতে হয় না এবং তিনি আমার নিত্য ধাম লাভ করেন।"
দেবীর পূঁজ হয় সর্বত্রই একই রীতিতে, কিন্তু সবাই কি ভগবানের সাথে ধর্মের সংস্থাপন উপলব্ধি করতে পারে।  একই খাদ্য, একই ফল ধনী-গরীব,  উচু-নীচ সবাই ভোগ করে তবে পার্থক্য হতে পারে পরিচ্ছন্নতায়। যা কিনা গরীবের মাঝেও বিদ্যমান থাকতে পারে আবার অনেক ধনীদের মাঝেও অনুপস্থিত থাকতে পারে। এর মধ্যেই নাকি বিশ্বাসের পরিচয় মেলে। ধনী -গরীব,  রাজা -প্রজা সবাই সব সমাজে সাধ্য মত পুজার আয়োজন করে  -সোনা-রূপার গহনায় মোড়া হোক বা না হোক প্রতিমার চিন্ময়ী রূপ সর্বত্র।ভগবান সর্বত্র বিরাজমান কিন্তু কোথাও অাবদ্ধ নয়। তার চিন্ময়ী রূপ সবাই কি উপলবদ্ধি করতে পারেন।
 "হে অর্জুন যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন তাকে আর দেহ ত্যাগ করার পরে পুনরায় জন্মগ্রহন করতে হয় না। তিনি আমার নিত্য ধাম লাভ করেন। "
"অাসক্তি ভয় ক্রোধ থেকে মুক্ত হয়ে সম্পন্নরূপে অামাতে মগ্ন হয়ে, একান্ত ভাবে অামার অাশ্রিত হয়ে,  পূর্বে বহু বহু ব্যক্তি অামার জ্ঞান লাভ করে পবিত্র হয়েছে এবং সেই ভাবে সকলেই অামার চিন্ময় প্রীতি লাভ করিয়াছে।"
যে যে ভাবে আমার প্রতি অাত্ম সমর্পণ করে, প্রপত্তি স্বীকার করে আমি তাকে সেই ভাবেই পুরুস্কৃত করি। হে পার্থ সকলেই সর্বতভাবে অমার অনুসরণ কর।"
অর্থাৎ ' যখনই ধর্মের অধ:পতন হয় আর অধর্মের অভুথ্যন ঘটে তখনই ভগবান নিজের প্রকাশ ঘটিয়ে অাবির্ভুত হন সাধুদের  পরিত্রাণ করার জন্য, দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য আর ধর্মে সংস্থ্পনের জন্য। তাই তো শ্রীবন্তীর অন্তরের আশা পূর্ণ হল। শিশু শ্রাবন্তীরা মায়ের উপর অাস্থা রেখে বছর পার করে যেন আশা পূর্ণ করলো। মায়ের চরণে উচ্ছাসিত হৃদয়ে প্রিয় মানুষটিকে কাছে পাবার আহবান। সে জানে মা তার দাবী মঞ্জুর করেছ।  কিছুটা অস্থিরতায় মায়ের উপর আস্থা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর।নিজের অজান্তেই সে প্রিয় মানুষের বুক ছুঁয়ে যায়, নিজেকে খুজেঁ পায় প্রিয় মানুষের চোখে। কিন্তু সমাজ জটিলতার অশুর বাধা হয়ে দাড়ায়, থাকে কিছু অনাহূত জীব অশুর রূপে। কিন্তু  শ্রাবন্তীরা জানে জগত মাতা যে আশা মঞ্জুর করে তা অপূর্ণ  থাকে না। কিন্তু সমাজের জটিলতা আর অশুরের বাধা অতিক্রম করে কে তাকে উপহার দেবে অন্তরের মানুষটি। মা কি তাদের জন্য কোন বাহন বা দেবতাকে রেখে যাচ্ছেন? নাকি, ---------জগতের সকল মাতা আর তাদের সন্তানরা যদি জগত মাতার মত নির্ভুল হয় তবেই শ্রাবন্তীদের আশা পূর্ণ হয়।
Rasal Hasan Lia.  October 20, 2017

মা' অশুর যেন না হয় তোমার কোন সন্তান

যার কোন জন্ম নাই, যা জন্ম হয়নি, যার কোন উৎপত্তি নাই,  যার কোন শুরু নাই তার অস্তিত্ব থাকে কিভাবে? যারা মনে করেন তাদের আল্লাহ বা ঈশ্বরের কোন উৎপত্তি নাই, শুরু নাই এবং জন্মগ্রহন করে নি -তাদের বোঝা উচিত তাদের কল্পিত বা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া আল্লাহ -এর ধারনাটা ভুল।

অাসলে আমাদের বিবেক এবং যা কিছু সঠিক ও ভালো তাতেই সৃস্টিকর্তা,  ভগবান বা বিধাতা বিরাজমান এবং যা কিছু খারাপ - অন্যায় তাতে অশুর বা শয়তানের প্রভাব বিরাজমান।

That has no starting, no birth reasonably has no existence. Those who believe that their Allah didn't born, Allah or God has no strating or beginning should understand that their imagined or pre-imposed concept of God and Allah is worng.

In facet our sense of responsibility  - everything good and perfect represent His existence. And everything bad and worng have the devil's influence.

(If the above comment is perceived as an attack on the religious sentimentof Muslims, if that could be a reason to torture and jail the person, they should understand that the first and prime speech of Muslims,  the Kalema denies the existence of all Gods/Devtas/Deities  except that of Muslims.  Isn't the Kalema an attack on the religious sentiments of all human beings except the Muslims?
উপরের মন্তব্যটা যদি ধর্মীয় অনুভুতিতে অাঘাত হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং তা যদি মন্ব্যকারীকে নির্যাতন ও জেলে দেবার কারণ হতে পারে তাহলে তাদের বুঝা উচিৎ যে মুসলমানদের প্রথম এবং মূল কথা,  কলেমা মুসলমান ভিন্ন অন্য সকল ধর্মের ঈশ্বর/দেবতাদের অস্বীকার করে। কাজেই, কলেমা কি মুসলমান ভিন্ন অন্য সকল মানুষের ধর্মীয় অনুভুতির উপর অাঘাত নয়?)


Wrong Allah/ ভুল অাল্লাহ


বাস্তবতা যাই হোক, শিশু-কিশোরদের গণিত বইএ ধর্মের ছড়াছড়ি।  

বাস্তবতা যাই হোক, শিশু-কিশোরদের গণিত বইএ ধর্মের ছড়াছড়ি।  পুরনো কথা, কর্মকান্ড বা স্বভাব না বদলে শুধু নাম বদলে বা  মোড়ক বদলে প্রকৃত পরিচয় বদল করা যায় না। একারনেই হয়ত একজন শিক্ষক নাকি উচ্চ শিক্ষার পাঠ কক্ষে বলেছিলেন যে  পতিতালয় এর আগে হালাল শব্দ ব্যবহার করলে তা হালাল হয়ে যাবে কিনা। যারা পতিলয়কে  অস্বীকার করে,  তাদের কেউ যদি কর্মকান্ড না বদলে শুধু নামবদলের মাধ্যমে পতিতালয়কে সেবাশ্রম হিসাবে পরিচয় দিতে চায় তবে তা পাপের কাজ। সেরকম ধোঁকাবাজি বোকাদের কাছেই গ্রহনযোগ্য। আধুনিক যুগের সুদকে সে কোন বরবর যুগের পিশাচদের  হাতিয়ারের সাথে তুলনা করা ঠিক নয়।  উপকারের যথাযথ প্রতিদান দেয়ার চেস্টা ও আমানতের প্রকৃত মূল্য ফেরতের জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন  হতেই পারে, আর এই অতিরিক্ত ৃঅর্থ মানব সমাজে একটা নিয়ম মেনে চলে-যাকে ইন্টারেস্ট বা  শুধ বলা হয়- এটি কোন মধ্যযুগীয় ব্যক্তিদের নির্যাতনের অস্ত্র নয়। এটা বর্তমানকালে মধ্যযুগীয় মহাজনদের উত্তরসুরিদের সেই সুযোগ দেয়না  যার মাধ্যমে তারা ঋণ গ্রহীতাকে চাকর বানাতে পারতো বা সমাজে হেয় করন বা সুনাম নস্ট বা জোরপূর্বক বৈবাহিক বন্ধন স্থাপন বা ছিন্ন করা বা সহয় সম্পত্তি হাতিয়ে নেবার মত ঘৃণিত  অন্যায় করতে পারতো। ।  নিয়ম থাকলে দুষ্টরা অন্যায়ের সুযোগ কম পায়, তাই তারা প্রগতির বিপক্ষে। কোন্ ধর্মে কি অাছে তা তাদের বিষয়,  কারা মানবে বা মানবে না - তা তাদের বিষয়।  কিন্তু  ধর্মের অযুহাতে ভুল শিক্ষা দেয়া কতটা মহত। স্কুলের গণিত বইগুলোতে সুদের স্থলে মুনাফা শব্দটা যেভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা কি সুশিক্ষা? যারা সুদ খাবেনা বলে, তারা ধর্মের ছাতার তলে মুনাফার নামে সুদ খেয়ে পেটে হাত বুলাতে পারে। কিন্তু সকল শিশুদের ভুল বা ধোকাবাজির শিক্ষা দেবার অধিকার রাখে না। যদি এমন হয় যে তারা প্রকৃতই সুদ খাবেনা, সেক্ষেত্রও তাদের স্বীকার করা উচিৎ যে উপকারকারি মানুষের ক্ষতি না করা বা আমানতের খেয়ানত না করা আত্মমর্যাদা সম্পন্ন সব মানুষেরই উচিত।  একটা সময় ছিল যখন বর্তমানকালের মত মুদ্রার প্রচলন ছিলনা। ধরা যাক ব্যবসায়িক দৃস্টিতে তারা ঋণ বা বিনিয়োগ নয় বরং সোয়াবের স্বার্থে সাহায্য করত। সে ক্ষেত্রে তারা সুনাম বা অবস্তুগত কিছু গ্রহন করত বা না করত, তারা বস্তু  ফেরত দিত।  কিন্তু বমর্তমান কালে কেহ তাদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য  গ্রহণ করে যদি পরে তা ফেরত দিতে চান তবে তার অতিরিক্ত অর্থ  ফেরত দেয়া উচিৎ-সুদের স্বার্থে নয় বরং আমানতের খেয়ানত না করার জন্য বা উপকারকারী ব্যক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করার জন্য। কারন তার ঋণ নেয়া অর্থের দ্বারা সে আজ যে পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী বা জমি কিনতে পারবে এক বছর পরে সে পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী বা জমি কিনতে তার অতিরিক্ত  অর্থের প্রয়োজন হবে। আর সেই অতিরিক্ত অর্থের পরিমাণ নির্ৃধারনের জন্য সুদ একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি হিসাবে কাজ করতে পারে। যা দুষ্টদের জন্য নির্যাতনের সুযোগ কমিয়ে দেয়।  এটা ঋণ গ্রহীতাকে সমাজে হেয় বা অধীনস্থ করে না বরং ভবিষ্যতের সম্পর্ক ও সম্পর্কের পরিধি স্পট রাখে।

অাসলে তারা ধর্মের টানে মুনাফা শব্দটার অমর্যাদা করছে।


"There is scope to rethink with the debate whether bank interest is permissible or not wherein women who are exchanging for money can be free from such profession getting loans. The bank interest should not be viewed as that the opportunity seekers, who compel the poor when they are in need to agree to borrow at an unbearable interest rate with the intention to snatch the mortgaged property upon the default, do.  Earning interest on goods and earning interest on money is not same. Earning interest on lending money is not a sin if the interest rate is affordable and adjusted with the purchasing power of money. Interest is needed to compensate or payback the lender same purchasing power. "

Rasal Hasan Lia
কিশোরদের গণিত বইএ ধর্মের ছড়াছড়ি।