Tuesday, October 31, 2017

জগদ্ধাত্রী পুজো যেন প্রকৃতই সবাইকে অহংকার শুন্য করে।

পুজার দিনগুলে বেশ ভালই কাঙ্ক্ষিত দিনের মত  যাচ্ছিল। কিন্তু,  দশমীর দিনে হঠাৎ করে অস্বস্তি।  অশুরধর্মী দু' একটা বদ ছেলে অযথাই গা ঘেষতে চাচ্ছে,  ছোয়া লাগাতে চাচ্ছে - তবে অালতির মানসে নয়। বিসর্জনে অন্য সবার মত অার নদির ঘাটে যাওয়া হয় না। পরের দিন সকালে পুকুর ঘাটে অযথাই একজনের অপ্রয়োজনীয় শব্দে গলা কফের নোংরা চর্চা আর পুকুরের পানিতে বিশ্রী রকম ছিটাছিটি। এক সাদা পাঞ্জাবীলা  প্রস্রাব শেষে লিঙ্গটা ধরে ঘাটে পরিস্কার হচ্ছে। তার নোংরা ধর্মের নামটা লিখলে অাবার অনুভুতিতে অাঘাত হতে পারে। পানি দিয়ে মানুষ পরস্কার হয়, কিন্তু পরিস্কার হতে গিয়ে বদ্ধ পানি নোংরা করা নোংরাদেরই কাজ। কারো সাধ্য অাছে কি জল পরিস্কার করার? কে পারে পুকুর থেকে নোংরা জল টুকু অালাদা করতে? তবে মা'য়ের ইচ্ছাতেই গঙ্গা পুজা/ঘাট পুজা দিতে এলেন কয়েকজন হিন্দু। মোমবাতি, অাগরবাতি জ্বেলে, ফুল দিয়ে শুকনো ডালায় পনিতে ভাসিয়ে দেয়া। ও গুলো পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে এবং গন্ধ অার উত্তাপ ছড়াচ্ছে।  কিছুক্ষণ আগে অসাধ্য মনে হচ্ছিল , কিন্তু নোংরা গুলো হয়ত অাগুনের তাপে অাস্তে অাস্তে ধোয়া হয়ে নোংরাদের পানীয় হিসাবেই কোথাও অপেক্ষা করছে।
একজনে এসে বলে, সামনে জগদ্ধাত্রী পুজা, এবার জগদ্ধাত্রী পুজা হবে। মন্দিরে তো অার থাকতে পারবেন না। ছোট একটা শিশু ছেলে বলে, ক্যা?  থাকলে কি হবে? দর্গা পুজা, কালি পুজা সব পুজায় থাকবে। ইচ্ছা ছিল গতবছরের মত কালী পুজায় থাকা এবং প্রসাদ গ্রহন করার। কিন্তু সন্ধায় কাজ সেরে মন্দিরে অাসার পথেই অশুরের শিকার। তারা পথ অাগলে দেয়, মারধর  করে- খুব নীচু শ্রেণীর লোক ছিল তারা - পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগীকে হাতকড়া পরায়। মারধর করে, পাসওয়ার্ডের জন্য নির্যাতন করে। তবে জীবনের ভাল দিনগুলোর কয়েকটি দিন কাটে জেলে। সেখানে মানুষগুলো সম্মান করতে জানে, ভাল মন্দের তফাৎ বুঝে, কুৎসা রটনাকারীদের বেপারেও সচেতন ছিল। ভোটের জন্য নোংরা ধর্মের স্বার্থ ব্যবহারকারী দলের গুটিকয়েক লোভীর মত মহিষ সেখানে চোখে পরেনি। সব থেকে বড় বিষয়, সেখানে প্রতিটা মানুষকেই সেখানে মিথ্যা মুক্ত মনে হয়েছে। কয়েদীরা বুঝি মিথ্যা পছন্দ করেন না, কিন্তু ঐ নোংরা রাজাকারী ধর্মের কয়েকটি মানুষ অার তাদের প্রশাসন জেলের বাহিরে তা করে চলছে। ঐ হীন ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশেষ কোন একটি মহলের তৈরি করা অসত্য, মিথ্যা, অপমানকর প্রতিবেদনটি মূলত: তাদের কুৎসা রটানোরই প্রয়াস। অার ঐ রকম কুৎসায় যারা ঠোট মিলায় তারা মূলত: প্রডাক্ট অব হুইসপারার হয়ে যায়। তার পরেও তারা হয় কারন, তাদের পরিবারের এবং তাদের ধর্মের মেয়েরা বিয়ের অাগেই সতীত্ব হারায় - তা গোপন করাটা তাদের নিয়ম। তাদের পর্দা যেন অনেকটা: বিয়ে ছাড়া  ঢেকে রাখা হারানো সতীত্বের পরিচয়।

মহিষাসুর বধের সাথে সাথে হস্থীরূপ অশুর বিনাশে জগদ্ধাত্রৌ মাতার পুজার অায়োজন হচ্ছে। কিন্তু সমাজে চামচিকাও রয়েছে। জেল লাইব্রেরীতে একটি বই পড়াতে শুরু করা।  কয়েকটি পাতা উলটানোর মধ্যেই পরিচয় মেলে কাজীদের। অতটা নোংরা ষড়যন্ত্র বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু মনে পরে, ২/৩ দিন আগে যে কাজীরা পথরোধ করে হঠাৎ অাঘাত শুরু করে তারা শুধু কিছুদিন পূর্বে মন্দির থেকে পোষাক/ মোবাইল/ মোবাইল সরঞ্জাম চুরি/ নষ্ট করার ঘটনায় জড়িত নয়, তারা প্রায় বিশ বছর অাগে এলাকার পরিচিত সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাতে থাকতে চায়, কিন্তু তৎক্ষণাৎ বিতাড়িত হয়। কারাণ, তারা তাদের ঢাকা ভ্রমণের অাসল উদ্দেশ্য শিবির নামের সংগঠনে যোগ দেয়ার বিষয় গোপন করে। তারা ঐ সংগঠনের অপততপরতার সাথে যুক্ত ছিল বিধায় সেখানে অতিথির মর্যাদা পেতে ব্যর্থ হয়। তারা মন্দির প্রাঙ্গণে ঐসব অাচরণ করে যাতে মানুষ হিন্দুদের দোষারোপ করে। সুযোগ পেল ওরা ভয়ংকর বিশ্বাসঘাতক। চামচিকাধর্মী ঐ রাজাকার কাজী গুলো অাসলে কি - বৈশিষ্ট্যে মহিষাসুর না হস্থী অশুর?

যতটুকু জানা যায়, দেবতারা অনেকটা চিন্তামুক্ত; নিজেদের বেশ ক্ষমতাবান ভাবতে শুরু করেন। মা' দুর্গা এসেছিলেন, অশুরগুলো সব বধ করা হয়ে গেছে, কাজেই বিপদ বুঝি শেষ। তারা নাকি অনেকটা অহংকারী হয়ে উঠেন। মহিষাসুর বধ করা হয়ে গেছে, ম' দুর্গা চলে গেছেন দশমীর বিসর্জনে। কাজেই এখন তাঁরাই শ্রেষ্ঠ। পরমেশ্বর ব্রম্মা তখন মর্তে অাসেন। এই শিক্ষা দিতে যে দেবতারা যে শক্তিতে নিজেদের শক্তিমান মনে করেন তা অসলে তাদের নিজেদের নয়, সকল ক্ষমতার উৎসই জগৎ মাতা। অশুর বধ করা হয়েছে, কিন্তু তাতে দেবতাদের অহংকার করার সুযোগ নেই। তাদের দায়িত্ব কর্তব্যে উদাসীন হবার সুযোগ নেই। মহিষাসুরের পরে হস্থীরূপ অশুর যেন মানুষের অনিষ্ঠের কারণ না হয়। হস্থীরূপ অশুরকেও জব্দ করতে হবে। বায়ুর দেবতা ব্রম্মাকে বলেন, তিনি পাহার-পর্বত, গাছপালা সবকিছু ছুড়ে ফেলতে পারেন। ব্রম্মা একটুখানি তৃণলতা বা ঘাস দেখিয়ে বায়ুর দেবতার ক্ষমতা দেখতে চান। সে সবকিছু উপড়ে ফেলতে পারে ঠিকই, কিন্তু ঘাসটুকুর কিছুই করতে পারল না। একে একে অগ্নির দেবতা এবং অন্য দেবতারাও ব্যর্থ হল। তখন তারা বুঝতে পারলেন যে তাদের ক্ষমতা  অাসলে তুচ্ছ্ব। সকল ক্ষমতা মূলত: জগত মাতার। তারা তখন জগৎ মা' দুর্গারই অন্যরূপ জগদ্ধাত্রী মাতার কাছে নত হন। নিকট অতীতের ইতিহাস বলে, একজন রাজা ব্রিটিশ বিরোধী বিধায় পুলিশের কাছে বন্ধী হন। দশমীতে তিনি মুক্ত হন, কিন্তু ততক্ষণে মা' দুর্গার বিসর্জন হয়ে যায়। একবছর অপেক্ষার প্রহর না গুনে রাজা কার্তিকের দশমীতে শাস্ত্রমতে জগদ্ধাত্রী পুজার অায়োজন করেন। মা'য়ের ভক্তরা দিকভ্রান্ত হন না। এ পুজা যারা করেন, তারা নাকি সত্যই অহংকারশুন্য হন।


Sunday, October 8, 2017

মা' অশুর যেন না হয় তোমার কোন সন্তান। 

সবার মনে আনন্দ। সকল বিপদ তাড়িয়ে সুখ -শান্তি,  আনন্দ আর প্রাচুর্যে জীবন ভরে দিতে আসবেন কল্যানময়ী দেবী মা-দুর্গা। শিল্পীরা যত্নে গড়ে তুলছেন প্রতিমা। বিদ্যার দেবীর দৃস্টিদান তারপরে জগত মাতা আর অশুর জব্ধকারী মনসার দৃস্টি যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে। একে একে গণেশ -কার্তিক লক্ষ্মী আর শিব সহ সকল দেবতা চিরাচরিত নিয়মে নিজ নিজ অবস্থানে প্রস্তুত অশুরগুলো বিনাশ করতে। জানার আগ্রহ প্রকাশ করা হয় দেবতার বাহন আর অবস্থানের তাৎপর্য নিয়ে। অনন্তকাল যাবৎ মা-দুর্গার ডান পাশে থাকেন প্যাচার পিঠে আগত লক্ষ্মী আর তাঁর ডানে ময়ুরে চরে কার্তিক। মাতার বা দিকে থাকেন হাঁসের পিঠে সরস্বতী আর তার পাশে ইদুরের পিঠে দেবতা গণেশ। অনেকেরই হয়ত অনেক কিছু অজানা কিন্তু সনাতন এই ধর্মের রয়েছে তাৎপর্য পূর্ন ইতিহাস। দেবতাদের অবস্থান ও বাহনের পিছনেও হয়ত রয়েছে অনেক বড় কোন তাৎপর্য বা শিক্ষা। দীর্ঘ কালের অভিজ্ঞ একজন পাল বলেন চিরকাল একই নিয়মে  একই বাহনে একই অবস্থানে প্রতিমাগুলো সাজানো হয়। এসবের পরিবর্তনের সুযোগ তাদের নেই, তবে এবার অশুরের সংখ্যা বেশী। চার চারটা অশুর জব্ধ অবস্থায়। আবার আলতা পায়ে দেবী মা এর সর্ব ডানে দেবতা কার্তিকের পায়ে জুত, অন্যরা কেন পাদুকা মুক্ত -এর জবাবে তিনি জীবন্ত মুচকি হসিতে মায়ের আগমনের আনন্দে সুখ, শান্তি আর প্রচুর্যে  যেন স্বর্গীয় রূপ ফুটিয়ে তোলেন।
ছোট ছোট শিশুরা পিতা-মাতার হাত ছেড়ে দৌড়ে এসে কপল ঠেকায় মায়ের মন্দিরে। শিশুকাল থেকেই এই শ্রদ্ধা, ভক্তি সম্মানের শিক্ষা আর অনুশীলন সমাজ জীবনে শত শত কুলাঙ্গারের মাঝেও তাদেরকে খুঁজে পেতে বেশী বেগ পেতে হয়না। তারা গড়তে জানে, শ্রদ্ধা ভক্তি, সম্মান করতে জানেন আবার প্রয়োজনে যথাসময় বিসর্জন দিতে পারেন। ঐক্য,  আনন্দ, বিচার,  শাস্তি, ন্যায়-অন্যায় প্রতিষ্ঠা- সব কিছুতে যেন প্রকৃতি সহযোগী। সব কিছু প্রকৃত মানব জগতেরই প্রতিচ্ছবি।  অানন্দঘন মূহুর্ত গুলো পেরিয়ে বিদায়ের দিনে বুক দুকরে উঠে বিশ্বাসীদের ।  মা সন্তানদের অাবদার ফেলেদেন না। বছর জুরে তৈরি করে রাখা আবদার গুলো মায়ের কাছে তুলে ধরা। ভক্তি শ্রদ্ধা, আনন্দ উল্লাস,  আবেগ আর বিদায়ী বেদনার মাঝে সামান্য মুহূর্তটুকুতে নিজের আবদার গুলো তুলে ধরতে তালগোল পেচিয়ে ফেলে অনেকেই। সারা বছর যাবৎ প্রতিক্ষা শেষে অতি যত্নে গড়ে তোলা প্রতিমা বিসর্জন হয় বিচ্ছেদী বেদনা আর শান্তিতে ভরা তৃপ্ত হৃদয়ে।  তারা গড়তে জানে, শ্রদ্ধা ভক্তি করতে জানে, আবার বিসর্জন দিতেও পারে। কোন লোভ,  মোহ,  আসক্তি তাদের সমাজ জীবনে কর্ম হতে বিরত রাখে না।  পরস্পর ঐক্য,  সহযোগিতা,  আনন্দ উল্লাস,  শান্তি শৃংখলা আর অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে ত্যাগের শিক্ষা তাদেরকে যুগ যুগ ধরে একটা স্বার্থক মানবজাতিতে পরিনত করে। ঢাকের তালে তালে বিশ্বাসীরা আনন্দে মেতে থাকে এমনি ভাবে যেন জীবন্ত মা দূর্গা ভক্তদেরকে জগত হতে জটিলতা মুক্ত সর্গীয় কোন ভুবনে নিয়ে যান। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রকৃত বিশ্বাসীরা মায়ের চোখে চোখ রেখে ঠিকই বুঝে নেয় মনের অাশা মা কতটুকু গ্রহন করেছে -প্রিয় মানুষটিকে মুহূর্তেই কাছে পাবার মধ্যে সব কিছু যেন সত্য হয়ে উঠে। নিজের মা যত আপনিই হোকনা কেন, মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু দেবী মা ভুলের উর্ধে। ৮/১০ বছরের একটি শিশুকে তার বন্ধুরা বকছে এবং তাকে মারার হূমকী দিচ্ছে।  তাদের অভিযোগ ছেলেটি মন্দির হতে আরতির জন্য একটি পাজেল লুকিয়ে রেখেছে। ছেলেটির মা এসে সবাইকে বলে ' ও যদি নিয়ে থাকে তো নিয়েছে, ফেরত দেতে বলেছ তাই যথেষ্ট,  কিন্তু তোরা মারার কে। তোদের যদি পাজল কম হয়, কমিটির লোকদের বল, প্রয়োজনে কিনে দিবে"। কিছুক্ষণ পরেই ছেলেটির মা ছেলেটিকে একা ডেকে বলে, " মন্দিরের জিনিস তোর একার না, তা সবার,  ভবিষ্যতে ঠাকুর না দিলে মন্দিরের কোন কিছু বাড়ি নিবি না"।  কয়েকজন মায়ের সামনে একজন মায়ের রায়ে সকলেই চুপ। শুধু ধমক বা শাস্তি নয়,  সহযোদ্ধাদের মধ্যে চিরতরে হেয় করা নয় বরং অন্যায় নিরুৎসিহিত করণ, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা,  ইজ্জত রক্ষা ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক নিশ্চিত করনও সুবিচারের অংশ।  তাইতো দ্বিধা দন্দ ভুলে সবাই একত্রে অগ্নি হাতে আরুতিতে অংশগ্রহন।  তবে পালের ভাষ্যমতে অশুরের সংখ্যা বেড়েছে। আবার ধরনও বদলাচ্ছে।  যে অশুরের দিকে মায়ের তীর তাক করা তা নাকি মূল অশুর, তাকে নাকি চিরতরে বিনাশ করা যায় না। তাকে জব্দ করে রাখতে হয়। যে মা তার সন্তানকে সময়মত পোশাক পরিয়ে, আশির্বাদ দিয়ে স্কুলে পাঠায়, তার সন্তান আর যে মা স্কুলের সময়ে সন্তানকে শাসায় "এই ছ্যামরা স্কুলে যাও না ক্যান, তাড়াতাড়ি ঐবাড়ির বাজার দিয়া স্কুলে যা" তার সন্তান কি সমান ভাগ্যবান! ২য় সন্তানটিকে সমাজের অজ্ঞতার অশুরগুলো চিরকাল সুযোগ নিয়ে বলার চেস্টা করতেই পারে " এই ছ্যামরা,  ঐটা নিয়ে আয়, এটা নিয়ে যা, এটা কর, ওটা না......... ইত্যাদি ইত্যাদি। ভগবদগীতা সাধারনের কাছে কতটুকু স্পস্ট তা বলা কঠিন তবে এমন কিছু নাকি বলা হয়েছে " এই জগতে মানুষ সকাম কর্মের সিদ্ধি কামনা করে এবং তাই তারা বিভিন্ন দেবদেবীর উপাসনা করে। সকাম কর্মের ফল অতি শিঘ্রই লাভ হয়।----------কোন কর্ম আমাকে প্রভাবিত করতে পারে না এবং আমিও কোন কর্ম ফলের আকাঙ্খা করি না। আমার এই তত্ত যিনি জানেন তিনি কখনও সকাম কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হন না।" তবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন" হে অর্জুন যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন তাকে আর দেহ ত্যাগ করার পরে পুনরায় জন্ম গ্রহন করতে হয় না এবং তিনি আমার নিত্য ধাম লাভ করেন।"
দেবীর পূঁজ হয় সর্বত্রই একই রীতিতে, কিন্তু সবাই কি ভগবানের সাথে ধর্মের সংস্থাপন উপলব্ধি করতে পারে।  একই খাদ্য, একই ফল ধনী-গরীব,  উচু-নীচ সবাই ভোগ করে তবে পার্থক্য হতে পারে পরিচ্ছন্নতায়। যা কিনা গরীবের মাঝেও বিদ্যমান থাকতে পারে আবার অনেক ধনীদের মাঝেও অনুপস্থিত থাকতে পারে। এর মধ্যেই নাকি বিশ্বাসের পরিচয় মেলে। ধনী -গরীব,  রাজা -প্রজা সবাই সব সমাজে সাধ্য মত পুজার আয়োজন করে  -সোনা-রূপার গহনায় মোড়া হোক বা না হোক প্রতিমার চিন্ময়ী রূপ সর্বত্র।ভগবান সর্বত্র বিরাজমান কিন্তু কোথাও অাবদ্ধ নয়। তার চিন্ময়ী রূপ সবাই কি উপলবদ্ধি করতে পারেন।
 "হে অর্জুন যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন তাকে আর দেহ ত্যাগ করার পরে পুনরায় জন্মগ্রহন করতে হয় না। তিনি আমার নিত্য ধাম লাভ করেন। "
"অাসক্তি ভয় ক্রোধ থেকে মুক্ত হয়ে সম্পন্নরূপে অামাতে মগ্ন হয়ে, একান্ত ভাবে অামার অাশ্রিত হয়ে,  পূর্বে বহু বহু ব্যক্তি অামার জ্ঞান লাভ করে পবিত্র হয়েছে এবং সেই ভাবে সকলেই অামার চিন্ময় প্রীতি লাভ করিয়াছে।"
যে যে ভাবে আমার প্রতি অাত্ম সমর্পণ করে, প্রপত্তি স্বীকার করে আমি তাকে সেই ভাবেই পুরুস্কৃত করি। হে পার্থ সকলেই সর্বতভাবে অমার অনুসরণ কর।"
অর্থাৎ ' যখনই ধর্মের অধ:পতন হয় আর অধর্মের অভুথ্যন ঘটে তখনই ভগবান নিজের প্রকাশ ঘটিয়ে অাবির্ভুত হন সাধুদের  পরিত্রাণ করার জন্য, দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য আর ধর্মে সংস্থ্পনের জন্য। তাই তো শ্রীবন্তীর অন্তরের আশা পূর্ণ হল। শিশু শ্রাবন্তীরা মায়ের উপর অাস্থা রেখে বছর পার করে যেন আশা পূর্ণ করলো। মায়ের চরণে উচ্ছাসিত হৃদয়ে প্রিয় মানুষটিকে কাছে পাবার আহবান। সে জানে মা তার দাবী মঞ্জুর করেছ।  কিছুটা অস্থিরতায় মায়ের উপর আস্থা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর।নিজের অজান্তেই সে প্রিয় মানুষের বুক ছুঁয়ে যায়, নিজেকে খুজেঁ পায় প্রিয় মানুষের চোখে। কিন্তু সমাজ জটিলতার অশুর বাধা হয়ে দাড়ায়, থাকে কিছু অনাহূত জীব অশুর রূপে। কিন্তু  শ্রাবন্তীরা জানে জগত মাতা যে আশা মঞ্জুর করে তা অপূর্ণ  থাকে না। কিন্তু সমাজের জটিলতা আর অশুরের বাধা অতিক্রম করে কে তাকে উপহার দেবে অন্তরের মানুষটি। মা কি তাদের জন্য কোন বাহন বা দেবতাকে রেখে যাচ্ছেন? নাকি, ---------জগতের সকল মাতা আর তাদের সন্তানরা যদি জগত মাতার মত নির্ভুল হয় তবেই শ্রাবন্তীদের আশা পূর্ণ হয়।
Rasal Hasan Lia.  October 20, 2017


যার কোন জন্ম নাই, যা জন্ম হয়নি, যার কোন উৎপত্তি নাই,  যার কোন শুরু নাই তার অস্তিত্ব থাকে কিভাবে? যারা মনে করেন তাদের আল্লাহ বা ঈশ্বরের কোন উৎপত্তি নাই, শুরু নাই এবং জন্মগ্রহন করে নি -তাদের বোঝা উচিত তাদের কল্পিত বা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া আল্লাহ -এর ধারনাটা ভুল।

অাসলে আমাদের বিবেক এবং যা কিছু সঠিক ও ভালো তাতেই সৃস্টিকর্তা,  ভগবান বা বিধাতা বিরাজমান এবং যা কিছু খারাপ - অন্যায় তাতে অশুর বা শয়তানের প্রভাব বিরাজমান।


Durga Puja 2017/ দুর্গা পুজা ২০১৭
মা' অশুর যেন না হয় তোমার কোন সন্তান

বিগত বছর যাদের দেখা গেল অন্যের হাত ধরে মন্দিরে এসে কপল ঠেকছে, এবার তাদের অনেকেই একা একা ছুটে এসে প্রণাম করছে মন্দিরে। তবে তাদের মধ্যে মেয়েদের থেকে ছেলেদের সংখ্যা অনেক বেশী। মেয়েরা অাসে দলবদ্ধ ভাবে। ছেলে-মে সবাই জগত মাতার অাগমনে দিনক্ষণ হিসাব করে অানন্দে মেতে উঠার অপেক্ষায়।
অনেকে খুব সহজ মনে করেন,  অানন্দে মেতে থাকেন পুজার দিন গুলোতে। কিন্তু ছোট্ট নয়নের তদারকি প্রায় কয়েক পক্ষকাল ব্যাপী।  জগত মাতার অাগমন ঘটবে নৌকায় করে। পাল মশাইরা কবে অাসবেন -এবার প্রতিমা হতে হবে সব থেকে সুন্দর। পাল মশাইর অাগমনের পরেই কেবল একটু স্বস্তির প্রকাশ। সে সঙ্গী সাথীদের ডেকে অানে- পুজার অনন্দে মেতে উঠে। পাল মশাইদের যেন কোন কষ্ট না হয় সে দিকে তার সজাগ দৃষ্টি,  সাথে সাথে প্রতিমা সুন্দর করার নানা অাবদার। ব্রাম্মণ পরিবারের এই বালকের ভক্তি-শ্রদ্ধা, জ্ঞান, তদারকি ও বিচারিক রায় যেন অনেক মুরুব্বিদের হার মানায়। খড়খুটো দিয়ে অাকৃতি প্রদান অার মাটির প্রলেপে প্রলেপে দিনের পরে দিন দেহের সমস্ত কারুকাজ যেন প্রকাশ পেতে থাকে। কয়েকটি দিনের মধ্যেই যেন জটিল মানব সমাজের জীবন্ত রূপ ফুটে উঠে। গতবার অশুরের সংখ্যা বেশি ছিল। এবার অশুরের সংখ্যা কম। মাত্র দু'টি। একটি অশুর জলন্ত অগ্নিতে পুরে মরছে- জগত মাতার কাছে ক্ষমা প্রার্থণায়রত। তবে অশুর বহনকারী জানোয়ারটির পরিণতি একেবারেই বিভৎস। সমাজের মানুষাকৃতির মহিষ গগুলোরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অশুর শক্তির প্রশ্রয়দাতাগুলো যেন অশুরের পায়ের তলেই পৃষ্ঠ হয়ে যায়। মহাশাশুরটি চিরাচরিত নিয়মে শেষ চেস্টা করে যাচ্ছে তার শক্তি প্রদর্শণে- যেনে জগত শ্রেষ্ঠা মা'কেই উপড়ে ফেলতে চায়। লোভের তাড়না,  ক্ষমতা অার শক্তির দাপটে তারা ভুলে যায় জগত মাতার অাগমন ঘটবে তাকে জব্দ করতে। জগতে যা কিছু অাছে তা সবই মা'য়ের সৃস্টি, তিনিই সব কিছুর প্রান দান করেছেন। অাকাশ যার পিতা, সাগর যার মাতা,  জগতের সকল সৃস্টি যার প্রজা তিনিই মা দুর্গা- মর্তে এসেছেন মহা শক্তি নিয়ে অশুর নামের দুষ্টু সৃস্টির হাত থেকে সমাজের নিরীহ সন্তানদের রক্ষা করতে। মহামানবতুল্য ধৈর্য, শান্তি, ন্যায় বিচারের কান্ডারী বৃদ্ধ ঠাকুর ক্রূক্ষেত্রের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ সেসময় প্রাণ হারায়, ভগবানের নিয়মেই অশুরগুলো পরস্পরবিরোধী সংঘর্ষে ধংস্ব হয়ে যায়। অশুরকূলে একটি অশুর ভগবানের অাশির্বাদ পুষ্ঠ। জগত মা'ছাড়া তাকে কেউ বধ করতে পারবে না। তাই অামরা মায়ের অারাধনা করি। একারনেই অামরা মা'য়ের কাছে মিনতি করি ' ব্রম্মা, শিব, বিষ্ঞু সহ জগতের সকল শক্তির অধিকারিণী মা'দুর্গা - তুমি অামাদের উদ্ধার কর'। কিন্তু তার মানে এই না যে শান্তি প্রিয় মানব সন্তানদের বিবেক থেমে থাকবে, অশুরের হাতে অশুর ধংস্ব হবে- ধংস্ব হোক।  তার মানে এই না যে যুদ্ধের দেবতা কার্তিকের অস্ত্র থেমে থাকবে। অন্যায়-অত্যাচারে অামরা যেন মায়ের অস্ত্র হয়ে অসহায়দের পাশে থেকে অশুর শক্তিকে পরাজিত করে রাখতে পারি। অামরা মা'য়ের সন্তানরা কেহ মহিষ না হই।
   জগত প্রকৃতির সবকিছুই মানবতার পক্ষে মায়ের সাথে অশুর নিধনে মেতে উঠবে -শিশু শ্রাবন্তিদের বিশ্বাস রক্ষায়। ইদুরের পিঠে শুভসূচনার দেবতা গণেশ, হাঁসের পিঠে জ্ঞান, বুদ্ধি, মানব সংস্কৃতি আর শিক্ষা দেবী সরস্বতী,  ময়ূরের পিঠে সুরক্ষিত যুদ্ধ দেবতা কার্তিক, শ্রুতিমধুর প্যাচার পিঠে শান্তি সমৃদ্ধি মঙ্গলের লক্ষী দেবীও প্রস্তুত। পাল মশাইর ভাষ্যমতে মহদেব- ধংস্বের দেবতা শিব স্বয়ং বুঝি মর্তে নেমে অাসবেন অশুর দমনে। ভয়ংকর সিংহ অশুরের কাধে চেপে বসেছে, সাপ ছোবল দিলো বুঝি, করুণাময়ী মা'য়ের ত্রিশূল অাঘাত হনেছে অশুরের বুকে,   তবু সে ন্যায়-বিচার আর মানবতার পথে অাসতে নারাজ। সমাজের বাস্তব রূপই ফুটে উঠে ঐ পুজা মন্ডবে। তা যেন কেবল উৎসবের বিষয় না হয়ে। তা যেন শিক্ষা দিতে পারে। তা না হলে ঐ প্রতীকী উৎসব বাস্তবে মঞ্চস্থ করার তাগিদ সৃস্টি হয় - সমাজের অশুরটা চিহ্নিত করে যন্ত্রণার অগ্নিতে নিক্ষেপ করুন, ধংন্ব করুন- অাপনি মহাদেব ভগবান। হিন্দু একটি স্থান ভিত্তিক মানব জাতির পরিচয় অার তাদের সনাতন ধর্ম হিন্দুদের ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম হিসাবে পরিচিত। কাজেই এই সমাজের সকলেরই শিক্ষা গ্রহন করা উচিৎ যেন কেউ অশুরকে প্রশ্রয় না দেন আর বাস্তবে পুজা মন্ডবের ঐ অশুর দমনের তাগিদ সৃস্টি না হয়। তবে অশুর গুলো ভুলে যায়, নাকি লজ্জা অনুভব করে, নাকি তা তাদের জন্মগত স্বভাব মাবতার কাছে নত না হওয়া।  তা যাই হোক, অশুর শক্তি যারা প্রশ্রয় দেয়, যারা অন্তরে বহন করে সমাজে তাদের পরিণতি যেন হয় ঐ মহিষটির মত।





Sunday, October 1, 2017

Ideas

Your opinion can contribute to bring the ideas in implementation.

কিছু ঐতিহাসিক ব্যক্তির নাম বলুন যারা মাতৃদুগ্ধ পান করেন নি বা জন্ম থেকে মা কে হরিয়েছেন।

মাতৃদুগ্ধ পান না করা মানুষ জীবনে অধিকতর বিচক্ষণ,  সুস্থ, অাস্থাভাজন, সফল ও বিখ্যাত হয়। নবী- রসুল,  দেবতাসহ অনেক বিখ্যাত দার্শনিক,  নেতা,  বিজ্ঞানীরা মাতৃদুগ্ধ পান করেনি।  যাদের জানা অাছে তারা সেরকম ব্যক্তিদের একটা তালিকা করতে সাহায্য করতে পারেন। অাপনার প্রতিবেশীদের মধ্য থেকেও তাদের মানসিক ও শারিরিক বিষয়ে জানাতে পারেন।
People who didn't take mother's breastmilk are more intelligent and possess better mental and physical health. Prophets, Devas and historically great persons are the examples. It seeks statistical data and the knowledge from from observation in nearby localities to know the percentage of great persons,  philosophers, leaders, prophets and devas.
Postpartum care for the new babies - detachment from mothers.
https://challenges.openideo.com/challenge/new-life/feedback/postpartum-care-for-the-babies

জীবনের প্রথম গর্ভধারণ থেকেই যেন নারী তার গর্ভজাত সন্তান জন্মদেবার অধিকার রক্ষা করতে পারেন। বলতে গেলে সকল মা' ই প্রথম গর্ভধারণের সন্তান রক্ষা করতে না পেরে জীবনভর অসুস্থ বা কোন একটা শূণ্যতায় ভোগেন।

All most all mothers bear temptations failing to give birth of their first conception. This is to protect the mother's right from the first conception to give birth.
https://challenges.openideo.com/challenge/new-life/feedback/guardian-to-protect-the-first-conception-of-girls
একটু প্রশিক্ষণ আর সামান্য একটু জ্ঞানের বিস্তার প্রসূতি মৃত্যু হার অনেকাংশে কমিয়ে অানতে পারে।
Training to midwives on using condom to save lives.
https://challenges.openideo.com/challenge/new-life/feedback/save-the-life

openideo page comment করুন

Wednesday, August 2, 2017

Wrong Allah/ভুল অাল্লাহ

That has no birth, no starting,  no beginning reasonably has no existence yet.

Those who yet believe that their Allah or God didn't born and had no starting or beginning should understand that their imagined Allah or pre imposed concept of Allah is worng.


Our sense of responsibility -everything good and perfect represents His existence. And everything bad and wrong has devil's influence. 

যার জন্ম নাই, শুরু নাই তার অস্তিত্ব কোথায়?

এখনও অনেক মনে করেন যে তাদের অাল্লাহর কোন জন্ম নাই, তা জন্ম হয়নি, তার কোন শুরু নাই, তার কোন উৎপত্তি নাই তাদের বোঝা উচিৎ তাদের কল্পিত আল্লাহ বা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া আল্লার ধারনা সঠিক নয়।

কারণ,  তাদের ভাষ্য মতে, তার কোন শুরু নাই, কোন জন্ম নাই, অর্থাৎ এখনো শুরুই হয়নি।

(If the above comment is perceived as an attack on the religious sentimentof Muslims, if that could be a reason to torture and jail the person, they should understand that the first and prime speech of Muslims,  the Kalema denies the existence of all Gods/Devtas/Deities  except that of Muslims.  Isn't the Kalema an attack on the religious sentiments of all human beings except the Muslims?
উপরের মন্তব্যটা যদি ধর্মীয় অনুভুতিতে অাঘাত হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং তা যদি মন্ব্যকারীকে নির্যাতন ও জেলে দেবার কারণ হতে পারে তাহলে তাদের বুঝা উচিৎ যে মুসলমানদের প্রথম এবং মূল কথা,  কলেমা মুসলমান ভিন্ন অন্য সকল ধর্মের ঈশ্বরদের অস্বীকার করে। কাজেই, কলেমা কি মুসলমান ভিন্ন অন্য সকল মানুষের ধর্মীয় অনুভুতির উপর অাঘাত নয়?) 

Friday, June 16, 2017

Law, Religion, Child Marriage and Honesty


Honesty and your religion

! What do you think about Child Marriage!
! Is that prohibited or the registration is!
! Does the law controls the relationship between men and women or the sense, justification, emotion and attitude to sin and sanctity!
! If there's no claimant what's the rightness to break marriage bondage!
! Marriage is easy to break and stop, but what about the sinful relations without marriage!
! Who are being accountable for protecting the girls of weak families from exploitation, and dependency for accommodation!
! The men who respect law can go to court to stop marriage if their beloved is about to face forced marriage somewhere else, but who is responsible for protecting the girl from sinful realities till she legally get mature! 
! How the opinion and the right of the girls being honored! 
! What actually mean by Solemn! -physically unsound or respectful person for patience and respect to law, sanctity and humanrights! 
! What they get from the religion and society who respect law, religions, and avoid to entice and exploit!
  
If the children are asked :
 Do you favor child marriage? They reply :no
 Do you favor dishonesty? ------- of course not. 
 Do you like to cede your religion? ---no
 Are you truly able to chaste until you legally matured and get married? They remain silent. 
 
In fact, it's better to cede the existing religion and seek a valid one than becoming dishonest.
 
https://liaisle.blogspot.com/2016/04/no-more-delay-to-change-by-rasal-hasan.html
https://liaisle.blogspot.com/2015/06/brief-story-from-diary.html
www.facebook.com/rasal.lia