Wednesday, December 9, 2020

Sinful should be destroyed

পাপকে ঘৃণা কর, পাপীকে নয়- যারা এসব কথা বলে পাপীদের নাজাত দিতে উৎসাহ যোগায় তারাও পাপী। পাপীরাই পাপের ধারক। পাপকে ঘৃণা করা মানে পাপ কাজ থেকে নিজেদর বিরত রাখা, পাপীদের ঘৃণা না করা মানে নাজাত দেয়া নয়  - বরং বিনাশ করা যদি পাপাীরা পাপ ধারণ করতে থাকে।  সব পাপ অবশ্য সবার বিবেচনাধীন নয়।

Those who teach hate the sin, not the sinful persons  and induce to release the sinful persons are also sinful. Sinful are the vehicles of sin. To hate the sin implies to keep itself free from sin, but, not to hate the sinful doesn't imply to release the sinful - rather destroy if the sinfuls continue to commit sin.  But all sins are not equal.

https://rhliaisle-com.webs.com/apps/blog/show/25968694-perception


Saturday, December 15, 2018

They are flies to euthanize


কিছুক্ষণের জন্য, ঈমান, খেলাফত, নবী, নামাজ,… এ সমস্থ কথা রেখে, চিন্তা করে দেখ, কারা অন্যায় করছে, মিথ্যা, দুর্নীতি, ছলনা, ধর্ষণ, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতারণা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, ব্যাভিচার, বেয়াদবি, কুৎসা রটানো, দুর্বলের হক নষ্ট, নির্যাতন … তারা যারাই হোক তারা এবং তাদের ধর্ম খারাপ। আমি মনে করি মানুষদের সঠিক পথে সঠিক রাখার জন্যই ধর্ম, পাপ-মুক্ত থাকা আর পাপ মুক্ত করার জন্যই ধর্ম। কেউ অন্যায় করলে শুধু প্রশ্ন না শাস্তি দেয়াটাও ধর্ম। আমি যদি চুরি করি, তবে আমার নবী চোরের নবী। কাজেই নিজেকে সঠিক রাখাটাই ধর্মের কাজ। আবার নিজেকে ঠিক রাখলেই চলে না, ছোটদের – যেমন ছোট ভাই-বোন, সন্তানদের অপকর্মের দায়ভারও নিজেদের কাধে আসে। তবে, আমার অজ্ঞতা বা উদাসীনতার কারণে অন্য একজনের অন্যায় পথে, পাপের পথে চলাটা গ্রহনযোগ্য হয়ে যায় না। আমি দায়ী হতাম যদি অামি অভিভাবক হতাম বা তার দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হত। মনেকর, তুমি দরজা খুলে ঘুমিয়ে আছ, তাই বলে অন্যের জন্য চুরি করাটা যায়েজ হয়ে যায় না আর চোরদেরও মাপ করা যায় না। চোরের চুরির পক্ষে নয় বরং চুরি বন্ধের চেষ্টা করা প্রয়োজন। ‘আসলে অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়।’ ‘হতে পারে, অনেকে নিয়তির কথাও রলে, কিন্তু সে জন্য অন্যায়কারিদের ক্ষমা বা প্রশ্রয় দেয়া ঠিক না।’ লোকটা ভাবে, যারা অশিক্ষা, অজ্ঞতা বা অসহায়ত্বকে দায়ী করেন মেয়ে সন্তানদের পাপের পথে যাবার জন্য, তাদের অবশ্যই চিন্তা করা প্রয়োজন তারা সেই নোংরা অভিভাবক আর সুবিধাভোগী পাপীদের অাড়াল করে পাপের পথকে সুগম করছে কিনা? নির্যাতিতাদের অনিষ্ঠ করছে কিনা? আর নির্যাতনকারীদের পক্ষে থাকছে কিনা? নিয়তির কথা অনেকে বলে, তাই মরা মানুষ জেতা করার দাবি করিনা, তাই বলে খুনিদের আড়াল করা নয় বরং ফাঁসি দাবি করি, আবার ক্ষতিগ্রস্তদের পুনরুদ্ধার। ২য় অংশ: http://istishon.blog/node/27019

পোকা সব মরে যাক (২য় অংশ)

Monday, July 16, 2018

যখন মে, তুমি পল্লীর ঘরে ঘরে

মনের সাথে লড়ি

ভালবাসার সাগরে কত ঢেউ অাছড়ে পরে
ভেসে যাই পদ্ম হয়ে, ঢেউয়ের তালে তালে
লোকেরা বলে মানিয়েছে বেশ,
বন্ধুদের চোখে হিংসার রেশ,
বাবা-মা ভাবে সুখী হবে ঠায়, জীবন সঙ্গী যে।

মন তবু কোথা যেন পরে আছে চেয়ে
চাঁদের পানে মুখ হাসে, পথিকের চোখে অাকুতি
ঢেউয়ের টানে দেহ দোলে, মন যে পাথর মূর্তি।
অাঘাতে আঘাতে ক্ষয়ে যায় দেহ, তবু মন যে মনের মাঝে বন্দী
- এযে মনের সাথে মনের সন্ধি।
‘আমি যে কে তোমার - সুধাইলে মন বলে
ভাষা নেই, তবু কেঁপে উঠে মন, যেন সবখানে তুমি।
তবু চেয়ে আছে মন মোর কৈশোরের খুটা ধরে -মন যে মনের মাঝে বন্দি।


তবে তুমি কেবলি তুমি

প্রতি দিন, প্রতি রাতে, আছো তুমি বুকে মিশে,
হাজারো মানুষের ভীড়ে-
কষ্টের সাগরে, শান্তির দীপ হয়ে
জোয়ারে জোয়ারে যায় বুঝি ঢেকে,
তবু অাকড়ে ধরে রাখি ঢেউয়ের অাঘাতে
শুধু তোমাকে, শুধু তোমাকে।

অাশা রাখি, পাবো একদিন

জানি, কাঁদ তুমি নিষেধ না মানা মনে
তবু হেসে উঠো যেন দু:খ ঝড়ে পরে।
মনের দুয়ারে উকি মেরে উঠি
যেন হাফ ছাড়ে, শূন্য দুয়ারে দোকানি।

জানি জমে অাছে কথা বুকে
বলিব তোমাকে
কিন্তু কেমনে? কেমনে?

অপেক্ষায় অপেক্ষায় কেটে যায় সময়
ঘরির কাটা ঘুরে ব্যস্ততার গাড়ি থামবে বুঝি
- কিন্তু কৈ? অাঘাতে অাঘাতে ছুটে যায় দেখি।


তবু বলি, শোন

যাকে তুমি পেতে চাও দিও তারে মন
তার সাথে কোন কথা রাখিওনা গোপন।
মনের যত কথা আছে বল খুলে তাকে দেখবে সে তোমায় বুকে তুলে তুলে নেবে।
কখনো ভেবনা সে নেই - সে আসবে তোমার মাঝে - অনুভাবে অনুভবে
শুধু ডেকে উঠো মন দিয়ে
ঈশ্বরের চোখে চোখ রেখে
শুধু বল ‘আমি শুধু তোমার’।



Friday, June 29, 2018

আর বিলম্ব নয়। একই স্থানে লোকটিকে অাবার অাক্রমণ করা হয়। পান্নু মাঝির ছেলে তাকে পিছন দিয়ে অাঘাত করে যখন লোকটি একজন কাউন্সিলরের সাথে কথা বলছিল। কয়েকজন দাগী লোক তাকে এখনি এই গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে। লোকটি তার দৃষ্টিভঙ্গি জানায় আর বলে, আমাকে মারা উচিত নাকি পুরুষ্কার দেয়া উচিত? কে অাছে, যে দেশের অাইন মানে এবং ধর্ম মানে? সতীত্ব অাছে সেরকম একজনকে অামি বিয়ে করতে চাই। এটা কি পাপ? কাউন্সিলর বলেন, ‘অবশ্যই না’। মনে করুন, সামাজিক ভাবে বিয়ে না করে আমি কারো সাথে মিলিত হতে চাই না। কিন্তু বিয়ের জন্য একটা মেয়েকে অবশ্যই নূন্যতম অাঠার বছর হতে হয়। অাপনাদের কি অাঠার বছর বা তার বেশি বয়সের একটি মেয়েও অাছে যার সতীত্ব খোয়া যায়নি, অাপনারা ধার্মিক? যদি না থাকে তাহলে বলতে হয় অাপনারা সত্য ধর্ম পালনে ব্যর্থ। হয় আপনাদের ধর্ম ভুল অথবা অাপনারা ধর্ম পালনে ভুল। বৃক্ষ তো ফলে পরিচিতি পায়। কাজেই, অাপনারা অনৈতিক ভাবে অথবা অবৈধ ভাবে সতীত্ব হারানে নারীদের পিতা কিংবা ভাই, এভাবেই অাপনারা অাপনার নবীকে ব্যর্থদের নবীতে পরিণত করছেন। কাউন্সিলর বলেন, ‘তাতে অাপনার কি সমস্যা?’ ........

Thursday, May 31, 2018

সবার জন্য উচ্চ শিক্ষা নয়, কিন্তু সুশিক্ষা সবার জন্য।




সবার জন্য উচ্চ শিক্ষা নয়, কিন্তু সুশিক্ষা সবার জন্য। শিক্ষার গুরুত্ব এবং শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেশের শিক্ষিত অশিক্ষিত সব মানুষই স্বীকার করে থাকেন। অশিক্ষিত বলতে মূলত: প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অনুপস্থিতিকেই সবাই বুঝে থাকেন। যদিও কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও অনেক অনেক মানুষই প্রত্যন্ত সমাজে রয়েছেন যারা জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক বিবেচনা, সততা দেশপ্রেম ও যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসাধারণ। পোশাকআশাকে শিক্ষিত শিক্ষিত ভাবাপন্ন এবং কোন একটি চাকুরী সুবাদে যারা নিজেদের উচ্চ শিক্ষিত বলে গর্ব করে তাদের অনেকই মূলত: শিক্ষা, সুশিক্ষা এবং কূশিক্ষার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির তাগিদ দেয়। ভগবদগীতা-এ ভগবান যেমনটা উল্লেখ করেছেন, - তাতে, সব জ্ঞান সবার কাছে নিরাপদ নয়।("যারা সংযমহীন, ভক্তিহীন, পরিচর্যাহীন এবং আমার প্রতি বিদ্বেষ ভাবাপন্ন তাদের কখনও এই গোপনীয় জ্ঞান প্রদান করবে না।") । সত্যিকার অর্থে, সব মানুষ সব শিক্ষার উপযুক্তও নয়। কিন্তু সুশিক্ষা সবার জন্য। সুশিক্ষিতরা অবশ্যই শিক্ষার বিষয়ে নিজের অযোগ্যতা সম্পর্কে সচেতন থাকেন এবং উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিতদের সম্মান করেন। কারণ তারা অাত্মমর্যাদা সম্পন্ন হয়ে থাকেন এবং নিজের অর্জিত শিক্ষাকে সম্মানজনক মনে করেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াও মানুষ সুশিক্ষিত হতে পারেন আবার যারা স্কুল শেষে আর কলেজের ছাত্র হয়নি তারাও সুশিক্ষিত ব্যক্তিত্বের পরিচয় রাখেন যখন তারা উচ্চতর শিক্ষিতদের সম্মান করেন এবং তাদের কাছ থেকে জানবার জন্য নিজেদের ছাত্র হিসাবে ভাবতে পারেন। কিন্তু, যারা এখানে না হোক, ওখানে, ওখানে না হোক অন্য যেকোন খান থেকে গ্রাজুয়েট বা পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রী পেয়ে নিজেদের সকল গ্রাজুয়েটদের সমান সমান মনে করে তাদের অবশ্যই বুঝো নেয়া উচিত যে তারা অযোগ্য। তারা যার পিছনে ছুটছে তারা তার সঠিক সদ্ব্যবহার জানেন না। সুশিক্ষিতরা অধিকতর মেধাবী এবং উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিতদের নিকট হতে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ হারাতে চান না। কিন্তু, যে শিক্ষিতরা নিজের সীমাবদ্ধতা মানতে পারে না তারা জ্ঞান অর্জন নয় বরং চাঁদের ছবিতে হাত দিয়ে চাঁদ স্পর্শ করার তৃপ্তি অর্জনের অহংকার করে। তারা খুব সহজেই অনেক শিক্ষাকে ভুল বলে দিতে পারে কারণ তাদের পুস্তক জ্ঞানের সীমায় অনেক কিছুই থাকে না। যেসব গ্রাজুয়েটরা নিজেদেরকে অন্যসব গ্রাজুয়েটদের সমান ভাবে তাদের বুঝা উচিত খাল বিল নদীর জল অার ঝর্ণাধারা সমান নয়। যারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে বি: কলেজ দেখে গর্বিত হন তারা সবাই নন কিন্তু যারা তাদেরকে দেশের অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের সমান সমান মনে করে বা তার থেকেও বেশী কিছু তারা মূলত: নদীনালার জলের উপযোগিতা বুঝতে ব্যর্থ। মনেরাখা উচিত, সবাই যখন একই সমাজের সন্তান, তখন হিংসা নয় বরং নিজেদের সমান সমান ভাবার মানসিকতা ছেড়ে নিজেদের সীমাবদ্ধতা, অযোগ্যতা স্বীকার করে অধিকতর মেধাবী ও উচ্চ শিক্ষিতদের সম্মান করা ও নিজ নিজ উৎকর্ষ সাধনে সচেষ্ট হওয়াই সুশিক্ষিতদের পরিচয়। ভাল গবেটের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই থাকে কিন্তু, একেকটা স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সামর্থের প্রয়োজন, সবার সব সামর্থ থাকবে না সেটাই বাস্তবতা কিন্তু স্তর ভেদে সামর্থের ভিন্নতা ও যোগ্যতার তারতম্য সম্পর্কে সচেতনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। তাতে হয়ত অনাহূত ব্যক্তি হয়ে শূন্য হাড়ির মত অল্প শিক্ষিত মানুষরা গর্ব করত না, মানুষদের বিভ্রান্ত করত না অার উচ্চতর শিক্ষিতদের অসম্মান করত না। সাগরে নৌক চালানোর দক্ষতা অার কখন কোন জলাশয়ে, কিসের জন্য, কিভাবে নৌক চালানো হবে সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা, কিংবা ইটের পরে ইট গাঁথার দক্ষতা আর কোথায় কখন কিভাবে ইট গাথা হবে তা নির্ধারণ করার দক্ষতায় অবশ্যই তারতম্য থাকে। যারা সেরকম বিশেষ বিশেষ বি: কলেজ গ্রাজুয়েটদের নিয়ে গর্ব করেন তারা নিজেরাই নিজেদের অন্তরে পার্থক্যটা স্বীকার করে নিচ্ছেন। কাজেই, নিজেদের শিক্ষাটাকে কূশিক্ষায় পরিণত না করে, সমাজের সাধারণ মানুষদের প্রতারিত না করে, তাদের উচিত সাধারণ মানুষরা, সুশিক্ষিত মানুষরা যেভাবে উচ্চতর শিক্ষিত ও মেধাবীদের সম্মান করেন, তাদের কাছ থেকে সুশিক্ষা গ্রহণ করেন তেমন ভাবে অধিকতর মেধাবী উচ্চ শিক্ষিতদের সম্মান করা। ধর্মের পোশাক পরা লোকগুলর মধ্যেও যেমন জানোয়ার থাকতে পারে, তেমন ভাবে উচ্চ শিক্ষাকে কলঙ্কিত না কারাই ভাল। যে খেলোয়ার উচ্চ পর্যায়ের খেলোয়ারদের সম্মান করত ব্যর্থ সে নিজে একজন খেলোয়ার হিসাবে নিজ মাঠে অন্যদের কাছ থেকে কি সম্মান অাশা করতে পারে - ছোটদের প্রতারিত করলে নিজে কি পেতে পারে! মনে রাখা উচিত, পাঠশালার কোন শ্রেণী কক্ষে মেধা তালিকার প্রথম দশজন স্টুডেন্ট আর শেষ দশজন স্টুডেন্টদের মধ্য পার্থক্য কতখানি। এবং অাপনার বিদ্যালয়ের এক নম্বর মেধাবী স্টুডেন্ট অন্য বিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার যোগ্যতা নাও রাখতে পারে। সারা দেশের সেরা স্টুডেন্টরা সবাই অাবার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নাও পেতে পারেন। কাজেই পার্থক্যটা সামান্য নয়। নদীর ঘোলা জল খেতে যারা অভ্যস্ত তারা শিক্ষার ধারা যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অাসে তা দেখেনি কিন্তু তাদের কখনোই উচিত নয় অন্যদের অসম্মান করা যারা মেধা ও জ্ঞানের বিচারে অনেকটাি এগিয়ে গেছে, নদীর জল আর ঝর্ণাধারার মতই কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার পার্থক্য থাকবে। পুকুরের মাছ শিকার করা অার সাগরের মাছ শিকার করা এক কথা নয়। সবখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর র্যাংকিং এর সঠিক ব্যবস্থা নেই কিন্তু, র্যংকিং এর সঠিক ব্যবস্থা নিস্ফল হত না। কয়েকটি পাঠ্যপুস্তকের কিয়দাংশে মুখস্থ বিদ্যায় উচ্চ শিক্ষিত আর জ্ঞানের সাগরে জ্ঞান অর্জন, গবেষণা করা সমান হতে পারে না। মেধাশক্তির তারতম্য স্পট না থাকলেও যারা মাছ শিকার করেন, তারা অন্তত জানেন যে সবাই সব জলাশয়ে মাছ শিকার করার উপযুক্ত নয়। কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে মেধার পার্থক্যটাই মূখ্য। সেই সাথে প্রয়োজন পরিশ্রম। একটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে অালাপচারিতায়রত একজন ব্যক্তি অন্যদের বলছেন, "ছুটিতে যখন বাড়ি অাসে তখন দেখি তো কারা কি পড়াশুনা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নামেই, সেখানে মোটেও পড়াশুনা হয়না, তার থেকে....... কলেজ অনেক ভাল,... কলেজের ছাত্ররা অনেক পড়াশুনা করে।" বোধকরি এটা সেই সমস্ত মানুষের কথা যারা পড়াশুনা আর জ্ঞান অর্জনের পার্থক্য বুঝে না। অথবা তারা কোন প্রতারকের শিকার। পড়াশুনার সেই মান দন্ডে মাদ্রাসা কিংবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট শিশুরাও অনেক বেশি পড়াশুনো করে। এটা সবার সামনে এ কারণে যে, দেশ যখন উন্নত বিশ্বে প্রবেশ করছে, তখন মানুষ উন্নত সমাজ প্রত্যাশা করে। অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে যেমন শান্তির দেশ রয়েছে তেমনি অাবার বিশৃঙ্খল সন্ত্রাসী সমাজ অাছে, আবার অনেক দেশের ধর্মটাই তো নির্যাতনের। একটি দেশে উচ্চ শিক্ষার চাহিদা অনুধাবন করা প্রয়োজন কারণ সমাজে সকল পেশার মানুষই প্রয়োজন, যদি সুশিক্ষা থাকে তবে কোন মানুষ এবং কোন পেশাই অসম্মানের নয়। কিন্তু যারা শুধু অর্থউপার্জন/চাকুরির জন্য উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চায় তাদের বুঝা উচিত যে শিক্ষার সাথে সম্মান জড়িত। এমনকি যারা পারিবারিক প্রভাব প্রতিপত্তির সাথে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে একখানা ডিগ্রী অর্জন করতে চায় তাদেরও বুঝা উচিত - যারা অধিকতর শিক্ষিতদের এবং মেধাবীদের সম্মান করতে জানে না তারা নিজেরা নিজেদের শিক্ষার কতটুকু মূল্য অাশা করেন। যারা সুশিক্ষা, জ্ঞান অর্জন, গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য নয় বরং চাকুরী/স্টাটাসের জন্য যোগ্যতার ঘাটতি থাকা সত্বেও উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রী বা সনদ অর্জন করতে চায় তাদের যে প্রবনতা সমাজে শৃঙ্খলা নষ্ট করে তা হচ্ছে তারা মেধাবীদের অসম্মান করে এবং অন্যায়ভাবে বা অবৈধ পন্থায় নিজেদের অধিক যোগ্য প্রমানে তৎপর থাকে যদিও তারা নিজেরা নিজ নিজ অযোগ্যতা সম্পর্কে একেবারে অবুঝ নয়। যাদের অাত্মমর্যাদাবোধ অত্যন্ত নীচু তারাই খুব সহজে অপরিচিত মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করে। তারা নিজেদের শাসক আর অন্য সবাইকে অজ্ঞ, অন্ধ, তুচ্ছ মনেকরে। বিশেষকরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে টুপি ধারি ধর্মজ্ঞান সম্পন্নরা পথে ঘাটে সর্বত্রই অন্যদের বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে; এবং বিরক্তি সৃষ্টি, ঔদ্ধত্য, দু:সাহস, বেয়াদবি যেন তাদের ধর্মের পরিচয় হয়ে গেছে। যে অঞ্চল গুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, ছিল বি: কলেজ সেখানকার মানুষদের অাত্মমর্যাদায় যে কতটা ঘাটতি ছিল তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুশৃঙ্খল ষ্টুডেন্টদের পদচারণা অার জ্ঞান দ্বীপ্ত সিদ্ধান্তে মানুষ অাস্তে অাস্তে উপলব্ধি করতে পারে। তবে সর্বত্র বিশ্ববিদ্যালয় থাকাটা যেমন বাঞ্চণীয় নয় তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় না থাকাটা কোন দুর্ভাগ্য নয় যদি সমাজে রাজনৈতিক দলের নামে সমাজে ন্যায়-নীতিহীন, সুযোগ সন্ধানী এবং অযোগ্য পাপীদের অপতৎপরতা না থাকত। মেধাবীরা যাদের অযোগ্য মনেকরে, দেশপ্রেমহীন সেই লোভিরাই রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য বি:কলেজ শিক্ষিতদের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েটদের থেকেও উত্তম বলে গণ্য করার অপচেষ্টা চালায়। যেখানে মেধা থাকে সেখানে ন্যায়বোধ থাকে - যা সকল অপশক্তি ভয় করে। একারণেই হয়ত রাজাকার আর পাকিস্তানপন্থীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় মেধা বিনাশ করার অপচেষ্টা চালায়, আর তাদের অনুসারীরা সর্বত্রই মেধাবী উচ্চশিক্ষিতদের অসম্মান করতে উৎসাহ যোগায়। অন্যের জ্ঞান চুরি এবং অকৃতজ্ঞতা তাদের অারেকটি বৈশিষ্ট্য যা কখনোই কল্যাণ টিকিয়ে রাখতে পারে না। বরাবরের মত অবারো মনেহয় উন্নয়নের যাত্রাপথে শিক্ষার চাহিদা নিরূপণ করা, বিভিন্ন পেশা ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের চাহিদা নিরূপণ, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার চাহিদা নির্ধারণ এবং প্রবেশাধিকারের যোগ্যতাও সঠিকভাবে নির্ধারণ করা উচিত।(Higher education should be controlled and the access should be judged properly.)উচ্চ শিক্ষার বিস্তার কমিয়ে উচ্চ শিক্ষার গভীরতা বৃদ্ধি অার পেশা ভিত্তিক শিক্ষা /প্রশিক্ষণের বিস্তার বৃদ্ধি করাই শ্রেয়। যে কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মপন্থা নির্ধারণে খুব বেশি লোকবল নয় প্রয়োজন উন্নত জ্ঞান, বুদ্ধি ও মেধা; লোকবল প্রয়োজন প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে। তাই সবার জন্য উচ্চ শিক্ষা নয় বরং পেশামূখী সুশিক্ষার বিস্তার ঘটানোটাই শ্রেয়। মেধার বিচারে যারা পিছিয়ে থাকে অথচ উচ্চ শিক্ষার সনদ প্রাপ্তির জন্য লোভী হয়ে উঠে, তাদের জন্য উচ্চ শিক্ষা কতখানি সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে? 'অল্প শিক্ষা ভয়ংকর' কথাটা যদি উচ্চ শিক্ষিতদের জন্য প্রযোজ্য হয়ে যায় তবে তা উচ্চ শিক্ষার জন্য একটা কলঙ্ক। পোশাকে শিক্ষিত শিক্ষিত হলেও অাচরণে তারা অনেকে পথে ঘাটে গেয়ে অশিক্ষিতদের হার মানায়। তাদের কিতাবি জ্ঞানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব জ্ঞান যে একেবারেই সীমিত সেটা উপলব্ধি করলে অনন্ত তারা অন্যদের বিষয়ে চটজলদি ধারনা পোষণ ও অপপ্রচার চালাবার ধৃষ্টতা দেখায় না। তারা হারাম হালাল, জায়েজ নাজায়েজ চেনে অথচ রেস্তোরার খাবার স্পর্শ করে উত্তাপ মাপতে বিবেকের পরিচয় দেয় না কারণ তারা ছুঁতভরা খাবার খেতে অভ্যস্ত, তাদের ধর্ম মতে তা তো হারাম নয়। তারা পথে ঘাটে বিরক্তিকর ভাবে অন্যের শরীরে ঘেষে দাড়াতে দ্বিধা করে না বরং কাধে কাধ মেলানোর ধর্মীয় শিক্ষায় গর্ব করে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের রেস্তোরা গুলোতেও পানির ট্যাংক বা সেরকম নিরপদ স্থানে পানি সংরক্ষণ করে, ট্যাপ ব্যবহার করে, খাবার প্লেট, কাপ ইত্যাদি অালাদা অালাদা ভাবে ধুয়ে নেয়, কিন্তু ঐরূপ হালাল-হারাম সর্বস্ব শিক্ষিতদের শহরে বহুকাল পূর্ব থেকে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও কাপ/প্লেট ইত্যাদি একই পাত্রে চুবিয়ে ধুতে অভ্যস্ত - থু থু জরানো অাঙ্গুলে প্লেট চেটে খাওয়া এবং একই প্লেটে খাওয়া তো তাদের অনেকের ধর্ম মতে সোয়াবের কাজ। অাবার ছোটদের গণিত বইতে ধর্মের অছিলায় মুনাফা শব্দটা সেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে বাস্তবতা বিবর্জিত ভাবে মুনাফা শব্দের অর্থটাই পাল্টে যাচ্ছে। তারা গ্রাজুয়েট হয়ে/ শিক্ষার সনদ পেয়ে দম্ভ শুরু করে কিন্তু মানসিকতার উৎকর্ষতা নিয়ে কতটুকু ভাবে? তারা অনেকেই সেই ছোটবেলায় শিক্ষিত/অশিক্ষিত/টুইরাদের নিকট হতে অর্জিত ধর্মীয় জ্ঞান, নীতি-অাদর্শ নিয়ে জীবন পার করেন, নিজস্ব বিবেক বিবেচনার উন্নয়ন ঘটাতে পারেন কি? একারণেই হয়ত ... বি: কলেজ শিক্ষিতরা খুব সহজেই অন্যদের ভুল ও নীচ মনেকরে, এমনকি পরিচয় গোপন রেখে তাদের সামনে দ্যা গার্ডিয়ান বা সেরকম সংবাদপত্রের লেখা উপস্থান করলে তারা হয়ত খুব সহজেই ভুল বা অশুদ্ধ গ্রামার বলে মন্তব্য করতে পারে কারণ তাদের সীমিত পুস্তক জ্ঞানে অনেক কিছুই অনুপস্থিত। তারা সংখ্যায় যত বেশিই হোক না কেন তাদের তুষ্ট করার রাজনীতি টিকে থাকে না কারণ, বিবেক যখন নাড়া দেয় মানুষ নিজের ভুল শুধরেই অানন্দিত হয়। যারা পথেঘাটে কাঁচা কাঁচা পান-সুপাড়ি খেতে পারে তাদের ধর্মীয় ছবকে সমাজ, পরিস্থিতি, মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও নিজস্ব বিবেক-বিবেচনা নয় বরং কানপড়ার প্রতিফলন ঘটে। তারা পথেঘাটে নারীদের উত্তাক্তকারিদের বিরত করে না, বরং দোষ চাপায় নারীদের পোশাকের উপর। কিন্তু ৪-১০ বছর বয়সের যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয় তাদের বোরকার ব্যবস্থা করবে কোন ধর্ম? কোন একটা লেখায় যেমনটা পড়েছিলাম তাতে '৭১ সালে যে নারীরা নির্যাতনের শিকার হয় সেখানেও কি পোশাক দায়ী ছিল?' অাসলে অযোগ্যরা যখন যোগ্যতা বলে ব্যর্থ হয়েও দেশ ও সমাজ পরিচালনা করার জন্য অপচেষ্টা চালায় তখন তারা মেধাবীদের লাঞ্চিত করে আর কূরুচী সম্পন্নদের উৎসাহ যোগায়। বাতিল পুরুষরাই বিশেষ করে যারা কখনো কোন ভাল মেয়ের অামন্ত্রণ পায়নি অর্থাৎ যারা ভাল মেয়েদের কাছে নিজেদের অাকর্ষণীয় করতে ব্যর্থ, তারাই ধর্ষণের মত ঘটনায় দায়ী। প্রগতিশীল, স্বাধীনতাকামী, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী দেশপ্রেমী মানুষরাই অপশক্তি রুখে দেয়। বিধাতা কাকে সহায়তা করবে যদি ন্যায়ের পক্ষে কেহ না দাড়ায়! স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য যারা যুদ্ধকরেছিল এবং সেই অাদর্শকে সুপ্রতিষ্ঠিত রাখতে সচেষ্ট তারা দেশ পরিচালনায় থাকবে, সর্বত্র অগ্রাধিকার পাবে এবং একই সাথে দেশ বিরোধী পাকিস্তানপন্থী রাজাকাররা দূরে থাকবে তেমনটাই প্রত্যাশা, কিন্তু উভয়ের মিলনে যে সন্তান সে যদি রাজাকারের সন্তান হয়, তার পিতা যদি রাজাকার হয়, সে যদি স্বাধীনতা ও মানবাধিকার বিরোধী হয় তবে অগ্রাধিকার নয় বরং দূরে রাখাই ভাল। ভুল-ভ্রান্তি সুশিক্ষার কমতি মানুষ মাত্রই থাকতে পারে কিন্তু সুশিক্ষিত তারাই যারা ভুল ও অন্যায়কে ত্যাগ করে সঠিক শিক্ষাকে সম্মান করে, সত্য ও ন্যায়কে গ্রহণ করে। গত দশ বছরে উন্নযনের কারণে গ্রামে গ্রামে জমির দাম বৃদ্ধি পায়। অর্থ সম্পদের দাপটে অনেক দরিদ্র শিক্ষা বঞ্চিত মানুষ অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে গেছে। শিক্ষিত মানুষরা যদি শিক্ষিত মানুষদের সম্মান রাখতে না পারেন তবে সমাজ শান্তি নয় বরং অস্থিরতা ও অশান্তির পথে এগুবে। ছোটবেলা কোন একটা খবরে পড়েছিলাম উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষিত মানুষরা ক্ষেতে খামারে কাজ করে। তার মানে এই না যে সেখানে শিক্ষার অসম্মান হচ্ছে। সবাই যদি সবার অধিকার ও সম্মানের ব্যাপারে সচেতন থাকে তাহলে সবাই সুশিক্ষিতের পরিচয় দেয়, সুনাগরিকের পরিচয় দেয়। কিন্তু সনদ সংগ্রহ করাই যাদের লক্ষ এবং সনদ সংগ্রহ করেই যারা নিজেদের উচ্চ শিক্ষিত মনে করে এবং অন্যায় ভাবে অন্যদের পথ অাগলে দিতে চায় তারা শিক্ষার কলঙ্ক। দেশের সবাই সুশিক্ষিত হোক, যারা যোগ্য, যাদের মেধা অাছে, ইচ্ছে থাকে তাদের জন্য উচ্চ শিক্ষা ও উচ্চ পর্যায়ের গবেষণার দরজা খোলা থাকুক। তবে শিক্ষার মান নিশ্চিত না করে শুধু পাশের হার বৃদ্ধি অবশ্যই কল্যানকর নয়। কাজেই, বিগত বছরের পাশের হারের কমতিটা অবশ্যই ইতিবাচক। তবে এটা সত্য যে, মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পাশের হার বৃদ্ধি মানে ঝরে পড়ার হার কম। বিদ্যালয়ে থাকলে শিশুরা কিছুটা হলেও শিখতে পারে। কিন্তু, পাশের হার বৃদ্ধির জন্য সঠিক ভাবে সুশিক্ষা ও মান নিশ্চিত করাটাও বাঞ্ছণীয়। তবে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা এবং উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণা একই বিষয় নয়। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র ভর্তি যোগ্যতা - এর ভিত্তিতে শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যংকিং সম্পর্কে সচেতনতা, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ এবং শিক্ষিতদের প্রতি সম্মান সুশিক্ষিতদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। কর্মমুখী শিক্ষার ক্ষেত্র, যাদের ইচ্ছে থাকে তারা অনেকে প্রাতিষ্ঠানিক কর্মমুখী শিক্ষা সমাপ্ত না করেও বাস্তবে অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগাতে পারে। অাসলে, সমাজের চাহিদামত উপযুক্তদের জন্য উপযুক্ত সুযোগ নিশ্চিত করাটাই সমাজের দাবী। তবে খেয়াল রাখা উচিত যেনে,আ শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন অশুর তৈরির কারণ না হয়। - রাসেল হাসান লিয়া। .......

Friday, March 23, 2018

ধর্মের শুরুতেই ধর্মীয় অনুভুতিতে অাঘাত।


ধর্মের শুরুতেই ধর্মীয় অনুভুতিতে অাঘাত। - হিংস্র জানোয়ারদের জব্দ করতে যুগ যুগ ধরে মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এই একতা, শৃংখলা আর পরস্পর মান্য নিয়মেরর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকাটাই একটা ধর্ম। কিন্তু সে শ্রদ্ধাবোধ যদি মানবকূলে জানোয়ার তৈরি করে আর জানোয়ারদের রক্ষা করে চলে তবে মানুষ মাত্রই সে ধর্ম মানতে বাধ্য নয়। কারন, যদি অধিকার হরণ করা হয়, অন্যায়কে শুধু অস্বীকার করা নয়, বরং তা পরাস্ত করার পূর্ণ অধিকার সবারই রয়েছে। -------- যারা অাল্লাহ বা সেরকম কিছুকে চূড়ান্ত মনে করেন, তারা মূলত: জ্ঞানে, বুদ্ধিতে, সময় ও বিবেক বিবেচনায় সীমাবদ্ধতা টেনে অানেন। তাদের জানা উচিত অজানা শক্তিই চূড়ান্ত যা কিনা ন্যায়বিচার, অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ন্যায়বোধ ধারণ করে।ধর্মের শুরুতেই ধর্মীয় অনুভুতিতে অাঘাত। বিস্তারিত...