Sunday, October 8, 2017

মা' অশুর যেন না হয় তোমার কোন সন্তান। 

সবার মনে আনন্দ। সকল বিপদ তাড়িয়ে সুখ -শান্তি,  আনন্দ আর প্রাচুর্যে জীবন ভরে দিতে আসবেন কল্যানময়ী দেবী মা-দুর্গা। শিল্পীরা যত্নে গড়ে তুলছেন প্রতিমা। বিদ্যার দেবীর দৃস্টিদান তারপরে জগত মাতা আর অশুর জব্ধকারী মনসার দৃস্টি যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে। একে একে গণেশ -কার্তিক লক্ষ্মী আর শিব সহ সকল দেবতা চিরাচরিত নিয়মে নিজ নিজ অবস্থানে প্রস্তুত অশুরগুলো বিনাশ করতে। জানার আগ্রহ প্রকাশ করা হয় দেবতার বাহন আর অবস্থানের তাৎপর্য নিয়ে। অনন্তকাল যাবৎ মা-দুর্গার ডান পাশে থাকেন প্যাচার পিঠে আগত লক্ষ্মী আর তাঁর ডানে ময়ুরে চরে কার্তিক। মাতার বা দিকে থাকেন হাঁসের পিঠে সরস্বতী আর তার পাশে ইদুরের পিঠে দেবতা গণেশ। অনেকেরই হয়ত অনেক কিছু অজানা কিন্তু সনাতন এই ধর্মের রয়েছে তাৎপর্য পূর্ন ইতিহাস। দেবতাদের অবস্থান ও বাহনের পিছনেও হয়ত রয়েছে অনেক বড় কোন তাৎপর্য বা শিক্ষা। দীর্ঘ কালের অভিজ্ঞ একজন পাল বলেন চিরকাল একই নিয়মে  একই বাহনে একই অবস্থানে প্রতিমাগুলো সাজানো হয়। এসবের পরিবর্তনের সুযোগ তাদের নেই, তবে এবার অশুরের সংখ্যা বেশী। চার চারটা অশুর জব্ধ অবস্থায়। আবার আলতা পায়ে দেবী মা এর সর্ব ডানে দেবতা কার্তিকের পায়ে জুত, অন্যরা কেন পাদুকা মুক্ত -এর জবাবে তিনি জীবন্ত মুচকি হসিতে মায়ের আগমনের আনন্দে সুখ, শান্তি আর প্রচুর্যে  যেন স্বর্গীয় রূপ ফুটিয়ে তোলেন।
ছোট ছোট শিশুরা পিতা-মাতার হাত ছেড়ে দৌড়ে এসে কপল ঠেকায় মায়ের মন্দিরে। শিশুকাল থেকেই এই শ্রদ্ধা, ভক্তি সম্মানের শিক্ষা আর অনুশীলন সমাজ জীবনে শত শত কুলাঙ্গারের মাঝেও তাদেরকে খুঁজে পেতে বেশী বেগ পেতে হয়না। তারা গড়তে জানে, শ্রদ্ধা ভক্তি, সম্মান করতে জানেন আবার প্রয়োজনে যথাসময় বিসর্জন দিতে পারেন। ঐক্য,  আনন্দ, বিচার,  শাস্তি, ন্যায়-অন্যায় প্রতিষ্ঠা- সব কিছুতে যেন প্রকৃতি সহযোগী। সব কিছু প্রকৃত মানব জগতেরই প্রতিচ্ছবি।  অানন্দঘন মূহুর্ত গুলো পেরিয়ে বিদায়ের দিনে বুক দুকরে উঠে বিশ্বাসীদের ।  মা সন্তানদের অাবদার ফেলেদেন না। বছর জুরে তৈরি করে রাখা আবদার গুলো মায়ের কাছে তুলে ধরা। ভক্তি শ্রদ্ধা, আনন্দ উল্লাস,  আবেগ আর বিদায়ী বেদনার মাঝে সামান্য মুহূর্তটুকুতে নিজের আবদার গুলো তুলে ধরতে তালগোল পেচিয়ে ফেলে অনেকেই। সারা বছর যাবৎ প্রতিক্ষা শেষে অতি যত্নে গড়ে তোলা প্রতিমা বিসর্জন হয় বিচ্ছেদী বেদনা আর শান্তিতে ভরা তৃপ্ত হৃদয়ে।  তারা গড়তে জানে, শ্রদ্ধা ভক্তি করতে জানে, আবার বিসর্জন দিতেও পারে। কোন লোভ,  মোহ,  আসক্তি তাদের সমাজ জীবনে কর্ম হতে বিরত রাখে না।  পরস্পর ঐক্য,  সহযোগিতা,  আনন্দ উল্লাস,  শান্তি শৃংখলা আর অশ্রুসিক্ত হৃদয়ে ত্যাগের শিক্ষা তাদেরকে যুগ যুগ ধরে একটা স্বার্থক মানবজাতিতে পরিনত করে। ঢাকের তালে তালে বিশ্বাসীরা আনন্দে মেতে থাকে এমনি ভাবে যেন জীবন্ত মা দূর্গা ভক্তদেরকে জগত হতে জটিলতা মুক্ত সর্গীয় কোন ভুবনে নিয়ে যান। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রকৃত বিশ্বাসীরা মায়ের চোখে চোখ রেখে ঠিকই বুঝে নেয় মনের অাশা মা কতটুকু গ্রহন করেছে -প্রিয় মানুষটিকে মুহূর্তেই কাছে পাবার মধ্যে সব কিছু যেন সত্য হয়ে উঠে। নিজের মা যত আপনিই হোকনা কেন, মানুষ মাত্রই ভুল। কিন্তু দেবী মা ভুলের উর্ধে। ৮/১০ বছরের একটি শিশুকে তার বন্ধুরা বকছে এবং তাকে মারার হূমকী দিচ্ছে।  তাদের অভিযোগ ছেলেটি মন্দির হতে আরতির জন্য একটি পাজেল লুকিয়ে রেখেছে। ছেলেটির মা এসে সবাইকে বলে ' ও যদি নিয়ে থাকে তো নিয়েছে, ফেরত দেতে বলেছ তাই যথেষ্ট,  কিন্তু তোরা মারার কে। তোদের যদি পাজল কম হয়, কমিটির লোকদের বল, প্রয়োজনে কিনে দিবে"। কিছুক্ষণ পরেই ছেলেটির মা ছেলেটিকে একা ডেকে বলে, " মন্দিরের জিনিস তোর একার না, তা সবার,  ভবিষ্যতে ঠাকুর না দিলে মন্দিরের কোন কিছু বাড়ি নিবি না"।  কয়েকজন মায়ের সামনে একজন মায়ের রায়ে সকলেই চুপ। শুধু ধমক বা শাস্তি নয়,  সহযোদ্ধাদের মধ্যে চিরতরে হেয় করা নয় বরং অন্যায় নিরুৎসিহিত করণ, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা,  ইজ্জত রক্ষা ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক নিশ্চিত করনও সুবিচারের অংশ।  তাইতো দ্বিধা দন্দ ভুলে সবাই একত্রে অগ্নি হাতে আরুতিতে অংশগ্রহন।  তবে পালের ভাষ্যমতে অশুরের সংখ্যা বেড়েছে। আবার ধরনও বদলাচ্ছে।  যে অশুরের দিকে মায়ের তীর তাক করা তা নাকি মূল অশুর, তাকে নাকি চিরতরে বিনাশ করা যায় না। তাকে জব্দ করে রাখতে হয়। যে মা তার সন্তানকে সময়মত পোশাক পরিয়ে, আশির্বাদ দিয়ে স্কুলে পাঠায়, তার সন্তান আর যে মা স্কুলের সময়ে সন্তানকে শাসায় "এই ছ্যামরা স্কুলে যাও না ক্যান, তাড়াতাড়ি ঐবাড়ির বাজার দিয়া স্কুলে যা" তার সন্তান কি সমান ভাগ্যবান! ২য় সন্তানটিকে সমাজের অজ্ঞতার অশুরগুলো চিরকাল সুযোগ নিয়ে বলার চেস্টা করতেই পারে " এই ছ্যামরা,  ঐটা নিয়ে আয়, এটা নিয়ে যা, এটা কর, ওটা না......... ইত্যাদি ইত্যাদি। ভগবদগীতা সাধারনের কাছে কতটুকু স্পস্ট তা বলা কঠিন তবে এমন কিছু নাকি বলা হয়েছে " এই জগতে মানুষ সকাম কর্মের সিদ্ধি কামনা করে এবং তাই তারা বিভিন্ন দেবদেবীর উপাসনা করে। সকাম কর্মের ফল অতি শিঘ্রই লাভ হয়।----------কোন কর্ম আমাকে প্রভাবিত করতে পারে না এবং আমিও কোন কর্ম ফলের আকাঙ্খা করি না। আমার এই তত্ত যিনি জানেন তিনি কখনও সকাম কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হন না।" তবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছিলেন" হে অর্জুন যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন তাকে আর দেহ ত্যাগ করার পরে পুনরায় জন্ম গ্রহন করতে হয় না এবং তিনি আমার নিত্য ধাম লাভ করেন।"
দেবীর পূঁজ হয় সর্বত্রই একই রীতিতে, কিন্তু সবাই কি ভগবানের সাথে ধর্মের সংস্থাপন উপলব্ধি করতে পারে।  একই খাদ্য, একই ফল ধনী-গরীব,  উচু-নীচ সবাই ভোগ করে তবে পার্থক্য হতে পারে পরিচ্ছন্নতায়। যা কিনা গরীবের মাঝেও বিদ্যমান থাকতে পারে আবার অনেক ধনীদের মাঝেও অনুপস্থিত থাকতে পারে। এর মধ্যেই নাকি বিশ্বাসের পরিচয় মেলে। ধনী -গরীব,  রাজা -প্রজা সবাই সব সমাজে সাধ্য মত পুজার আয়োজন করে  -সোনা-রূপার গহনায় মোড়া হোক বা না হোক প্রতিমার চিন্ময়ী রূপ সর্বত্র।ভগবান সর্বত্র বিরাজমান কিন্তু কোথাও অাবদ্ধ নয়। তার চিন্ময়ী রূপ সবাই কি উপলবদ্ধি করতে পারেন।
 "হে অর্জুন যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন তাকে আর দেহ ত্যাগ করার পরে পুনরায় জন্মগ্রহন করতে হয় না। তিনি আমার নিত্য ধাম লাভ করেন। "
"অাসক্তি ভয় ক্রোধ থেকে মুক্ত হয়ে সম্পন্নরূপে অামাতে মগ্ন হয়ে, একান্ত ভাবে অামার অাশ্রিত হয়ে,  পূর্বে বহু বহু ব্যক্তি অামার জ্ঞান লাভ করে পবিত্র হয়েছে এবং সেই ভাবে সকলেই অামার চিন্ময় প্রীতি লাভ করিয়াছে।"
যে যে ভাবে আমার প্রতি অাত্ম সমর্পণ করে, প্রপত্তি স্বীকার করে আমি তাকে সেই ভাবেই পুরুস্কৃত করি। হে পার্থ সকলেই সর্বতভাবে অমার অনুসরণ কর।"
অর্থাৎ ' যখনই ধর্মের অধ:পতন হয় আর অধর্মের অভুথ্যন ঘটে তখনই ভগবান নিজের প্রকাশ ঘটিয়ে অাবির্ভুত হন সাধুদের  পরিত্রাণ করার জন্য, দুস্কৃতকারীদের বিনাশ করার জন্য আর ধর্মে সংস্থ্পনের জন্য। তাই তো শ্রীবন্তীর অন্তরের আশা পূর্ণ হল। শিশু শ্রাবন্তীরা মায়ের উপর অাস্থা রেখে বছর পার করে যেন আশা পূর্ণ করলো। মায়ের চরণে উচ্ছাসিত হৃদয়ে প্রিয় মানুষটিকে কাছে পাবার আহবান। সে জানে মা তার দাবী মঞ্জুর করেছ।  কিছুটা অস্থিরতায় মায়ের উপর আস্থা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর।নিজের অজান্তেই সে প্রিয় মানুষের বুক ছুঁয়ে যায়, নিজেকে খুজেঁ পায় প্রিয় মানুষের চোখে। কিন্তু সমাজ জটিলতার অশুর বাধা হয়ে দাড়ায়, থাকে কিছু অনাহূত জীব অশুর রূপে। কিন্তু  শ্রাবন্তীরা জানে জগত মাতা যে আশা মঞ্জুর করে তা অপূর্ণ  থাকে না। কিন্তু সমাজের জটিলতা আর অশুরের বাধা অতিক্রম করে কে তাকে উপহার দেবে অন্তরের মানুষটি। মা কি তাদের জন্য কোন বাহন বা দেবতাকে রেখে যাচ্ছেন? নাকি, ---------জগতের সকল মাতা আর তাদের সন্তানরা যদি জগত মাতার মত নির্ভুল হয় তবেই শ্রাবন্তীদের আশা পূর্ণ হয়।
Rasal Hasan Lia.  October 20, 2017


যার কোন জন্ম নাই, যা জন্ম হয়নি, যার কোন উৎপত্তি নাই,  যার কোন শুরু নাই তার অস্তিত্ব থাকে কিভাবে? যারা মনে করেন তাদের আল্লাহ বা ঈশ্বরের কোন উৎপত্তি নাই, শুরু নাই এবং জন্মগ্রহন করে নি -তাদের বোঝা উচিত তাদের কল্পিত বা তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া আল্লাহ -এর ধারনাটা ভুল।

অাসলে আমাদের বিবেক এবং যা কিছু সঠিক ও ভালো তাতেই সৃস্টিকর্তা,  ভগবান বা বিধাতা বিরাজমান এবং যা কিছু খারাপ - অন্যায় তাতে অশুর বা শয়তানের প্রভাব বিরাজমান।


Durga Puja 2017/ দুর্গা পুজা ২০১৭
মা' অশুর যেন না হয় তোমার কোন সন্তান

বিগত বছর যাদের দেখা গেল অন্যের হাত ধরে মন্দিরে এসে কপল ঠেকছে, এবার তাদের অনেকেই একা একা ছুটে এসে প্রণাম করছে মন্দিরে। তবে তাদের মধ্যে মেয়েদের থেকে ছেলেদের সংখ্যা অনেক বেশী। মেয়েরা অাসে দলবদ্ধ ভাবে। ছেলে-মে সবাই জগত মাতার অাগমনে দিনক্ষণ হিসাব করে অানন্দে মেতে উঠার অপেক্ষায়।
অনেকে খুব সহজ মনে করেন,  অানন্দে মেতে থাকেন পুজার দিন গুলোতে। কিন্তু ছোট্ট নয়নের তদারকি প্রায় কয়েক পক্ষকাল ব্যাপী।  জগত মাতার অাগমন ঘটবে নৌকায় করে। পাল মশাইরা কবে অাসবেন -এবার প্রতিমা হতে হবে সব থেকে সুন্দর। পাল মশাইর অাগমনের পরেই কেবল একটু স্বস্তির প্রকাশ। সে সঙ্গী সাথীদের ডেকে অানে- পুজার অনন্দে মেতে উঠে। পাল মশাইদের যেন কোন কষ্ট না হয় সে দিকে তার সজাগ দৃষ্টি,  সাথে সাথে প্রতিমা সুন্দর করার নানা অাবদার। ব্রাম্মণ পরিবারের এই বালকের ভক্তি-শ্রদ্ধা, জ্ঞান, তদারকি ও বিচারিক রায় যেন অনেক মুরুব্বিদের হার মানায়। খড়খুটো দিয়ে অাকৃতি প্রদান অার মাটির প্রলেপে প্রলেপে দিনের পরে দিন দেহের সমস্ত কারুকাজ যেন প্রকাশ পেতে থাকে। কয়েকটি দিনের মধ্যেই যেন জটিল মানব সমাজের জীবন্ত রূপ ফুটে উঠে। গতবার অশুরের সংখ্যা বেশি ছিল। এবার অশুরের সংখ্যা কম। মাত্র দু'টি। একটি অশুর জলন্ত অগ্নিতে পুরে মরছে- জগত মাতার কাছে ক্ষমা প্রার্থণায়রত। তবে অশুর বহনকারী জানোয়ারটির পরিণতি একেবারেই বিভৎস। সমাজের মানুষাকৃতির মহিষ গগুলোরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। অশুর শক্তির প্রশ্রয়দাতাগুলো যেন অশুরের পায়ের তলেই পৃষ্ঠ হয়ে যায়। মহাশাশুরটি চিরাচরিত নিয়মে শেষ চেস্টা করে যাচ্ছে তার শক্তি প্রদর্শণে- যেনে জগত শ্রেষ্ঠা মা'কেই উপড়ে ফেলতে চায়। লোভের তাড়না,  ক্ষমতা অার শক্তির দাপটে তারা ভুলে যায় জগত মাতার অাগমন ঘটবে তাকে জব্দ করতে। জগতে যা কিছু অাছে তা সবই মা'য়ের সৃস্টি, তিনিই সব কিছুর প্রান দান করেছেন। অাকাশ যার পিতা, সাগর যার মাতা,  জগতের সকল সৃস্টি যার প্রজা তিনিই মা দুর্গা- মর্তে এসেছেন মহা শক্তি নিয়ে অশুর নামের দুষ্টু সৃস্টির হাত থেকে সমাজের নিরীহ সন্তানদের রক্ষা করতে। মহামানবতুল্য ধৈর্য, শান্তি, ন্যায় বিচারের কান্ডারী বৃদ্ধ ঠাকুর ক্রূক্ষেত্রের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ সেসময় প্রাণ হারায়, ভগবানের নিয়মেই অশুরগুলো পরস্পরবিরোধী সংঘর্ষে ধংস্ব হয়ে যায়। অশুরকূলে একটি অশুর ভগবানের অাশির্বাদ পুষ্ঠ। জগত মা'ছাড়া তাকে কেউ বধ করতে পারবে না। তাই অামরা মায়ের অারাধনা করি। একারনেই অামরা মা'য়ের কাছে মিনতি করি ' ব্রম্মা, শিব, বিষ্ঞু সহ জগতের সকল শক্তির অধিকারিণী মা'দুর্গা - তুমি অামাদের উদ্ধার কর'। কিন্তু তার মানে এই না যে শান্তি প্রিয় মানব সন্তানদের বিবেক থেমে থাকবে, অশুরের হাতে অশুর ধংস্ব হবে- ধংস্ব হোক।  তার মানে এই না যে যুদ্ধের দেবতা কার্তিকের অস্ত্র থেমে থাকবে। অন্যায়-অত্যাচারে অামরা যেন মায়ের অস্ত্র হয়ে অসহায়দের পাশে থেকে অশুর শক্তিকে পরাজিত করে রাখতে পারি। অামরা মা'য়ের সন্তানরা কেহ মহিষ না হই।
   জগত প্রকৃতির সবকিছুই মানবতার পক্ষে মায়ের সাথে অশুর নিধনে মেতে উঠবে -শিশু শ্রাবন্তিদের বিশ্বাস রক্ষায়। ইদুরের পিঠে শুভসূচনার দেবতা গণেশ, হাঁসের পিঠে জ্ঞান, বুদ্ধি, মানব সংস্কৃতি আর শিক্ষা দেবী সরস্বতী,  ময়ূরের পিঠে সুরক্ষিত যুদ্ধ দেবতা কার্তিক, শ্রুতিমধুর প্যাচার পিঠে শান্তি সমৃদ্ধি মঙ্গলের লক্ষী দেবীও প্রস্তুত। পাল মশাইর ভাষ্যমতে মহদেব- ধংস্বের দেবতা শিব স্বয়ং বুঝি মর্তে নেমে অাসবেন অশুর দমনে। ভয়ংকর সিংহ অশুরের কাধে চেপে বসেছে, সাপ ছোবল দিলো বুঝি, করুণাময়ী মা'য়ের ত্রিশূল অাঘাত হনেছে অশুরের বুকে,   তবু সে ন্যায়-বিচার আর মানবতার পথে অাসতে নারাজ। সমাজের বাস্তব রূপই ফুটে উঠে ঐ পুজা মন্ডবে। তা যেন কেবল উৎসবের বিষয় না হয়ে। তা যেন শিক্ষা দিতে পারে। তা না হলে ঐ প্রতীকী উৎসব বাস্তবে মঞ্চস্থ করার তাগিদ সৃস্টি হয় - সমাজের অশুরটা চিহ্নিত করে যন্ত্রণার অগ্নিতে নিক্ষেপ করুন, ধংন্ব করুন- অাপনি মহাদেব ভগবান। হিন্দু একটি স্থান ভিত্তিক মানব জাতির পরিচয় অার তাদের সনাতন ধর্ম হিন্দুদের ধর্ম বা হিন্দু ধর্ম হিসাবে পরিচিত। কাজেই এই সমাজের সকলেরই শিক্ষা গ্রহন করা উচিৎ যেন কেউ অশুরকে প্রশ্রয় না দেন আর বাস্তবে পুজা মন্ডবের ঐ অশুর দমনের তাগিদ সৃস্টি না হয়। তবে অশুর গুলো ভুলে যায়, নাকি লজ্জা অনুভব করে, নাকি তা তাদের জন্মগত স্বভাব মাবতার কাছে নত না হওয়া।  তা যাই হোক, অশুর শক্তি যারা প্রশ্রয় দেয়, যারা অন্তরে বহন করে সমাজে তাদের পরিণতি যেন হয় ঐ মহিষটির মত।





No comments:

Post a Comment

It's better to comment here.
Don't whisper wrong thing to misguide the people on road.